ক্রীড়া প্রতিবেদক
নিকোলাস ওটামেন্ডির গোলে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে জয় পেয়েছে ব্রাজিলের বিপক্ষে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এই প্রথম ঘরের মাঠে হারল ব্রাজিল।
এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলো আর্জেন্টিনা। ছয় ম্যাচ থেকে পাঁচ জয়ে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট এখন ১৫। অন্যদিকে ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলে আরো নিচে চলে গেছে ব্রাজিল। তাদের অবস্থান এখন ছয়ে। ছয় ম্যাচ থেকে ব্রাজিলের সংগ্রহ মাত্র ৭ পয়েন্ট। জয়ের চেয়ে পরাজয়ের সংখ্যাই বেশি ব্রাজিলের। ছয় ম্যাচ খেলে ব্রাজিল দুটিতে জিতেছে। হেরেছে তিন ম্যাচে।
ঐতিহাসিক মারাকানায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচকে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। গ্যালারিতে দর্শকদের মাঝে হাতাহাতির কারণে খেলা শুরুর আগে মাঠ ছেড়ে চলে যায় মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা দল। প্রায় ৩০ মিনিট পর খেলা শুরু হলেও ফুটবলারদের মাঝে ছিল উত্তেজনাকর অবস্থা। মাঠে একাধিকবার মেজাজ হারিয়েছেন ফুটবলাররা। ম্যাচের শুরু থেকেই অনেক ফাউল করেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা।
সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন আর্জেন্টিনার ডি পল। প্রথমার্ধে চারবার ফাউল করা হয়েছে ডিপলকে। প্রথমবার ফাউল করার পর তার নাক দিয়ে তো রক্তই বের হয়। এরপর নাকে তুলো গুঁজে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ম্যাচের প্রথমার্ধে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোন দল। তাই গোলশূন্যভাবে শেষ হয় খেলা।
৫৫ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল রাফিনিয়া। কিন্তু আর্জেন্টিনা গোলকিপার এমিলিয়ানোকে পরাস্ত করতে পারেননি। ৫৮ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হারায় ব্রাজিল। ৬৩ মিনিটে আসে আর্জেন্টিনার কাঙ্খিত মুহূর্ত। কর্নার থেকে আসা বলে হেডে গোল করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। আর এই গোল ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
৭৮ মিনিটে মেসির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ডি মারিয়া। মেসির কাছ থেকে অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ড নিজের হাতে পড়ে নেন ডি মারিয়া। ৮১ মিনিটের ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। ডি পলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের জোয়োলিন্টন। শক্তি হারিয়ে ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি ব্রাজিল। এ নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে টানা তিন ম্যাচ হারালো ব্রাজিল। এর আগে উরুগুয়ে ও কলম্বিয়ার কাছে হেরেছিল তারা।