ক্রীড়া প্রতিবেদক
পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। আরেক সেমিফাইনালে শ্রীলংকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ভারত। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত।
দুবাইয়ে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মারুফ মৃধার তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই পাকিস্তানের দুই ওপেনার উসমান খান ও শাহজাইব খানকে ফিরিয়ে দেন মারুফ। তৃতীয় উইকেটে ৪২ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন মুহাম্মদ রিয়াজউল্লাহ ও অধিনায়ক সাদ বেগ। এই দুই সেট ব্যাটারকে শিকার করে পাকিস্তানকে জোড়া ধাক্কা দেন ইমন। রিয়াজউল্লাহ ২৮ ও বেগ ১৮ রান করে আউট হন।
৭৪ রানের মধ্যে রিয়াজউল্লাহ ও বেগের বিদায়ের পর পাকিস্তানের হয়ে শক্ত হাতে হাল ধরতে পারেননি আর কোন ব্যাটার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩৭ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। সাত নম্বরে নেমে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ফারহান ইউসুফ।পাকিস্তানের শেষ দুই ব্যাটারকে শিকার করে বাংলাদেশের সফল বোলার ইমন। ৭ ওভারে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া মারুফ ২৩ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।
১১৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়া বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান হাকিম ও মোহাম্মদ শিহাব জেমস। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে জয়ের পথে রাখেন তারা। তবে ৪টি চারে ৩৬ বলে ২৬ রান করে আউট হন জেমস।
দলীয় ৮৫ রানে জেমস ফেরার পর পাকিস্তানের বোলারদের উপর চড়াও হন হাকিম। ৩৯ বলে এবারের আসরে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির (১টি সেঞ্চুরিসহ) ইনিংস খেলেন হাকিম। চতুর্থ উইকেটে রিজান হোসেনকে নিয়ে ৩২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রান যোগ করে ১৬৭ বল বাকী থাকতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন হাকিম। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪২ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন হাকিম। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন রিজান। ২৪ রানে ৪ উইকেট শিকারের জন্য ম্যাচ সেরা হন ইমন।