ক্রীড়া প্রতিবেদক
পিছিয়ে পড়েও সুইজারল্যান্ডকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৫-৩ ব্যবধানে পরাজিত করে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে ৫৮ বছরের মধ্যে প্রথমবার বড় কোন আসরের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন টিকে থাকলো ইংলিশদের।
১২০ মিনিট পর ডাসেলডর্ফে ম্যাচের ফলাফল যখন ১-১ গোলে অমিমাংসিত ছিল তখন ভাগ্য নির্ধারনে পেনাল্টি শ্যুট আউটের প্রয়োজন হয়। সুইজারল্যান্ডের ম্যানুয়েল আকাঞ্জির প্রথম স্পট কিক রুখে দিয়ে থ্রি লায়ন্সদের নায়কে পরিনত হন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এই ব্যর্থতা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি পুরো টুর্নামেন্টে দারুন পারফর্ম করা সুইসরা। কোল পালমার, জুড বেলিংহাম, বুকায়ো সাকা, ইভান টনি ও ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড প্রত্যেকেই ইংল্যান্ডের হয়ে গোল করেছেন। আগামী বুধবার সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।
শেষ ষোলতে ৯৫ মিনিটে বেলিংহামের গোলে সমতা ফিরিয়ে স্লোভাকিয়ার সাথে অতিরিক্ত সময় খেলেছিল ইংল্যান্ড। ঐ ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই হ্যারি কেনের গোলে গ্যারেথ সাউথগেটের দলের জয় নিশ্চিত হয়। আরো একবার ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ড পরাজয়ের কাছাকাছি ছিল। ৭৫ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ব্রিল এম্বোলোর গোলে সুইজারল্যান্ড এগিয়ে যায়। পাঁচ মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে সাকার দুর্দান্ত শটে ম্যাচ বাঁচায় ইংল্যান্ড।
দূর্ভাগ্যবশত: ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার আকাঞ্জি সুইসদের জন্য পেনাল্টি ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হন। বড় টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালের বাঁধা পেরুনোর অপেক্ষা আরো দীর্ঘ হলো সুইজারল্যান্ডের। এনিয়ে সেমিফাইনালের পথে পাঁচবার বাঁধাগ্রস্থ হলো তারা।বিপরীতে পুরো টুর্নামেন্টে ফর্মহীনতায় থাকা গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা ঠিকই শেষ চারের পথ খুঁজে নিয়ছে।