ক্রীড়া প্রতিবেদক
টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। সেই সাথে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজও হারলো টাইগাররা। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছিলো বাংলাদেশ। এ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেন বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
ওপেনার সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে চার-ছক্কার উৎসবে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট প্লেয়িং কোন দেশের এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান। নন টেস্ট প্লেয়িং দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে সর্বোচ্চ ৩১৪ রান করেছে নেপাল। স্যামসন ৪৭ বলে ১১১ রান করেন। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
২৯৮ রানের পাহাড় সমান টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতের পেসার মায়াঙ্ক যাদবের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে ৩৫ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জনের কেউই ২০ ঘরে পা রাখতে পারেননি। তানজিদ ১৫ ও শান্ত ১৪ রানে আউট হন।
৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি হবার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৮টি চারে ২৫ বলে ৪২ রান করা লিটনকে শিকার করেন ভারতের স্পিনার রবি বিষ্ণোই। দলীয় ১১২ রানে লিটন আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাহমুদুল্লাহ ৮, মাহেদি ৩ ও রিশাদ শূন্যতে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন হৃদয়। তার ৪২ বলের অনবদ্য ইনিংসে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। ভারতের বিষ্ণোই ৩টি ও মায়াঙ্ক ২ উইকেট নেন।