ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা আরও জোরালো করলো অস্ট্রেলিয়া। আজ ইংল্যান্ডকে ৩৩ রানে হারিয়েছে অজিরা। সপ্তম ম্যাচে পঞ্চম জয় পেল তারা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানেই আছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের বাকি দুই ম্যাচ আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেমিফাইনালে খেলতে তাই কিছুটা নির্ভার থাকতেই পারে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এতোটা লজ্জায় কখনও পড়েনি ইংল্যান্ড। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে ভারতে খেলছে তারা। কিন্তু দলের যা তা অবস্থা। বাংলাদেশের বিপক্ষেই একমাত্র জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। সাত ম্যাচের ছয়টিতেই হেরেছে তারা।
আহমেদাবাদে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। শুরুটা ভালো করে ইংলিশরা। দলীয় ৩৮ রানের মধ্যেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ট্রেভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশানে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৫ রান যোগ করেন তারা। স্মিথ ৪৪ রানে আউট হলে দলীয় ১১৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর জস ইংলিশ নেমে মাত্র ছয় বল খেলেতে পেরেছেন। তার আউটের সময় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১৭ রান।
দুই ব্যাটার দ্রুত আউট হয়ে গেলেও ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন মার্নাস লাবুশানে। হাফ সেঞ্চুরি করে ৭১ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ফিরে যাওয়ার আগে ক্যামেরুন গ্রিনের সাথে ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর আরও একটি জুটি গড়ে উঠছিল ক্যামেরুন গ্রিন ও মার্কাস স্টয়নিসের মাঝে। তবে ক্যামেরুন ৪৭ রানে আউট হলে ৪৫ রানে ভাঙে এই জুটি। এরপর ৩৫ রানে আউট হয়ে গেছেন স্টয়নিস। অস্ট্রেলিয়ার তিন’শ রানের একটা টার্গেট থাকলেও স্টয়নিসের বিদায়ে তা আর হয়ে উঠে নি। শেষ দিকে অ্যাডাম জাম্পার ১৯ বলে ২৯ রান বেশ কাজে দিয়েছে অজিদের। তিন বল বাকি থাকতেই ২৮৬ রানে অলআউট হয় তারা। ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ৫৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মার্ক উড ও আদিল রশিদ।
ব্যাটিং ধসকে রুটিন বানিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম নয়। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট জনি বেয়ারস্টো। মিচেল স্টার্কের বলে উইকেটকিপার ইংলিশের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। একই পরিণতি ঘটেছে জো রুটের ক্ষেত্রেও। দলীয় ১৯ রানে তাকে বিদায় করেন স্টার্ক। এরপর দেখেশুনে ব্যাট করেছেন ডেভিড মালান ও বেন স্টোকস। ইনিংসকে অনেকখানি টেনে নিয়েছেন তারা। মালানকে ৫০ রানে আউট করে ৮৪ রানের এই জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স।
কোন ম্যাচেই হাল ধরতে পারছেন না অধিনায়ক জস বাটলার। আসলেন আর গেলেন। সাত বল খেলে ১ রান করেছেন বাটলার। ইংল্যান্ডের ইনিংসে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিটি করেন বেন স্টোকস। তবে ৬৪ রানে তার বিদায়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে মঈন আউট হয়েছেন ৪৩ বলে ৪২ রান করে। এরপর ক্রিস ওকস ৩৩ বলে ৩২ ও আদিল রশিদ ১৫ বলে ২০ রান করলেও অস্ট্রেলিয়ার পরাজয় এড়াতে পারেন নি। ৪৮ ওভার ১ বলে ২৫৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। অ্যাডাম জাম্পা ২১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স।