মোঃ শফিকুল আলম
সন্ধ্যার ফ্লাড লাইটের আলোয় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের দুই পাশে দুই রকম চিত্র। একপাশে ইরানের মেয়েদের সে কি উল্লাস। আর অন্যপাশে বিষন্নতায় আচ্ছন্ন বাংলাদেশের মেয়েরা। ক্রীড়াঙ্গনে আজকের দিনটা অন্যরকম হতে পারতো বাংলাদেশের। মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উল্লাস করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। মিরপুরের সেই উল্লাস দেখা যেতে পারতো কমলাপুরেও। কিন্তু ইরানের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরে গেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। গ্রুপ এইচের শেষ ম্যাচে সমীকরণ একটাই। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে ইরানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশের। অন্যদিকে ড্র করলেই চলবে ইরানের। দুই দল একটি করে ম্যাচ জিতলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ইরান। কিন্তু ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ গোলশুন্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ই সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। তুর্কমেনিস্তানকে ৭-১ গোলে হারিয়েছিল ইরান। আর বাংলাদেশ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিল ৪-০ গোলের ব্যবধানে।
ইরান শক্ত প্রতিপক্ষ হলেও ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। শুরুর দিকে ইরান কিছুটা চাপ বাড়ালেও আস্তে আস্তে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ। গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরী করেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। এছাড়া ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র। তার অভাবটাও টের পেয়েছে বাংলাদেশ। ইরানও গোলের দারুণ দু’টি সুযোগ নষ্ট করে।
গোলশুন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অতোটা আক্রমণে যেতে পারেনি বাংলাদেশ দল। কিন্তু কাজের কাজটি করেছে ইরান। ৮৫ মিনিটে বল সেভ করতে গিয়ে বক্স থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের গোলকিপার ও এই ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক রুপনা চাকমা। তাকে বিট করে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ইরানের নেগিন জান্ডি। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি। ১-০ গোলের জয় নিয়ে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে আট দলের একটি হলো ইরান।