ক্রীড়াপ্রতিবেদক
ঘরের মাঠেই সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশ দলের। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২০ বলে ১৫০ রানের টার্গেট তাড়ায় ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। বাকি ৮ ব্যাটার ৮৯ রান করতে পারেননি। যে কারণে ১৫০ রান তাড়ায় ১৪ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
বুধবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে উইন্ডিজ। দলের হয়ে ৩৬ বলে তিন চার আর তিন ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন অধিনায়ক শাই হোপ। এছাড়া ৩৩ বলে ৫টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওপেনার আলিক অ্যাথানেজ। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। আর ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
বুধবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানেই তাসকিনের শিকারে পরিনত হন ওপেনার ব্রেন্ডন কিং।এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শাই হোপ। তিনি আরেক ওপেনার অ্যালিক অ্যাথানেজকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাড়া ৫৯ বলে ১০৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তাদের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে মনে হয়েছিল দুইশ ছাড়িয়ে যাবে।
তবে শেষ ৮ ওভারে ক্যারিবীয়দের লাগাম টেরে ধরতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। যে কারণে ১১ ওভারে ১ উইকেটে ১০৫ রান করা উন্ডিজ; শেষ ৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রানের বেশি করতে পারেনি।
সিরিজ বাঁচাতে হলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হতো ১২০ বলে ১৫০ রান। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ১৪ রানে হেরে যায় টাইগাররা।দলের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৪১তম ম্যাচে নবম ফিফটি হাঁকান তানজিদ। তিনি ৪৮ বলে তিন চার আর তিন ছক্কায় ৬১ রান করে ফেরেন।
১৭ বলে ২৩ রান করেন লিটন দাস। ১৮ বলে ১৭ রান করেন জাকের আলি অনিক। ১৪ বলে ১২ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। দুই অঙ্কের ফিগার রান করতে পারেননি সাইফ হাসান (৫), শামিম হোসেন (১), রিশাদ হোসেন (০), তানজিম হাসান সাকিব (৮) ও নাসুম আহমেদ (২)।

