মোঃ শফিকুল আলম
৮১ মিনিটে আলমাদার গোলে স্বস্তি নিয়ে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। মনে হচ্ছিল কলম্বিয়ার কাছে হারতে যাচ্ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। একে তো ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে তারপর আবার শেষ ২৫ মিনিট দশ জনের দল নিয়ে খেলেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে শেষ হয়েছে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল কলম্বিয়ার সামনে। কিন্তু বল চলে যায় গোলপোস্টের উপর দিয়ে।২১ মিনিটে বা পায়ে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ। কলম্বিয়ার গোলকিপার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দলকে রক্ষা করেন।
২৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দুর্দান্ত গোল করেন কলম্বিয়ার ৭ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার লুইস ডিয়াজ। বাম প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দৌড়ে আর্জেন্টিনার রক্ষণ যেভাবে তছনছ করে গোল করেছেন তা ছিল দেখার মত। ৩০ মিনিটে গোল করেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু অফ সাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।
আক্রমণ বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা বদলি হিসেবে মাঠে নামায় দুই স্ট্রাইকার নিকোলাস গঞ্জালেস ও সিমিওনিকে। ডিফেন্ডার মলিনার জায়গায় গঞ্জালেস ও মিডফিল্ডার ডি পলের জায়গায় সিমিওনিকে মাঠে নামান কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। ৬০ মিনিটে আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এর কারণে দ্বিতীয় গোল পায়নি কলম্বিয়া। কলম্বিয়ার ফুটবলারের শটে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে বল বাইরে পাঠিয়েছেন মার্টিনেজ।
৬৩ মিনিটে গোলের দারুন সুযোগ নষ্ট হয় আর্জেন্টিনার। দুই দুইবার গোলের সুযোগ হারায় তারা। ৬৮ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক কলম্বিয়ার গোলকিপার বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে গ্লাভস বন্দি করতে ব্যর্থ হন। এরপর গঞ্জালেসের সামনে সুযোগ আসলেও কাজে লাগাতে পারেননি।
৭০ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় আর্জেন্টিনা। ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। কলম্বিয়ার কাসতানোকে বুট দিয়ে মাথায় আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এনজো ফার্নান্দেজ। ৭৮ মিনিটে মেসিকে উঠিয়ে নেন কোচ স্ক্যালোনি। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন প্যালাসিয়স।
অবশেষে ৮১ মিনিটে আলমাদার গোলে ম্যাচে সমতা আনে আর্জেন্টিনা। তার শট কলম্বিয়ার দুই ফুটবলারের পায়ের নিচ দিয়ে চলে যায় গোল পোস্টে যা কিনা কলম্বিয়ার গোলকিপার ডান দিকে ঝাঁপিয়েও নাগালে নিতে পারেননি।
আগেই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার ১৬ ম্যাচে এখন ৩৫ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে কলম্বিয়া।