কার্লোস তেভেজ একাই চার গোল করে ধ্বসিয়ে দিলেন প্রতিপক্ষকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

একটি ফুটবল ম্যাচ যা শুধু মনোরঞ্জনই দেয়নি, বরং বিশ্বজুড়ে শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।.কথা বলছি ‘সকার এইড’ নিয়ে! আর এবারের সকার এইডের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন একজন কিংবদন্তী ফুটবলার, যিনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরে এসে জাদু দেখিয়েছেন – কার্লোস তেভেজ।

এই নামটি শুনলেই ফুটবলপ্রেমীদের মনে পড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে তার সেই বিতর্কিত দলবদলের কথা। ইউনাইটেড ভক্তদের জন্য যা ছিল এক তিক্ত অভিজ্ঞতা, আর সিটির জন্য ছিল ‘ওয়েলকাম টু ম্যানচেস্টার’ পোস্টার দিয়ে প্রতিপক্ষকে উত্যক্ত করার এক দারুণ সুযোগ। কিন্তু এবার, ৪১ বছর বয়সে, তেভেজ সেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই ফিরে এসেছিলেন এক মহৎ উদ্দেশ্যে – ইউনিসেফের জন্য অর্থ সংগ্রহ। অর্ধেক সময় যখন ওয়ার্ল্ড এইড একাদশ ২-০ গোলে পিছিয়ে, তেভেজ তখন মাঠে নামেন। কে জানতো, এরপরেই ঘটতে চলেছে ইতিহাস!

একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন তেভেজ। ইংল্যান্ড দল তখন ৩-০ গোলে এগিয়ে। ঠিক তখনই তেভেজ পেনাল্টি বক্সের ভেতর বল পেয়ে গেলেন এবং কাছ থেকে এক দুর্দান্ত শটে ওয়ার্ল্ড এইড একাদশের হয়ে প্রথম গোলটি করলেন। কিন্তু এটাতো কেবল শুরু। মাত্র ৯৭ সেকেন্ডের মধ্যে তিনি তার দ্বিতীয় গোলটি করলেন! ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগকে একাই বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ালেন তিনি। স্কোরলাইন তখন ৩-২।

এরপর যখন ইংল্যান্ড ৪-২ গোলে এগিয়ে, ওয়ার্ল্ড এইড একাদশ একটি ফ্রি-কিক পায়। কে নিলেন সেই ফ্রি-কিক? কার্লোস তেভেজ! তার নেওয়া ফ্রি-কিক সরাসরি জালে জড়িয়ে গেল, এবং তেভেজ তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন! স্কোর ৪-৩।

আর এখানেই শেষ নয়! ইংল্যান্ড ৪-৩ গোলে এগিয়ে থাকলেও, তেভেজ আবারও জ্বলে উঠলেন। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে ড্রিবল করে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কাটিয়ে অসাধারণ এক গোল করে দলকে ৪-৪ সমতায় ফেরালেন তিনি। এরপর তার সতীর্থ ‘জু’ পঞ্চম গোলটি করে ওয়ার্ল্ড এইড একাদশকে জয় এনে দিলেন। সকার এইডের ইতিহাসে এটি তেভেজের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স! একাই চার গোল করে তিনি ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.