ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিল স্বাগতিক ভারত। প্রথমে ব্যাট করে তানজিদ হাসান ও লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে বিরাট কোহলির অপরাজিত ১০৩ রানে ৫১ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ভারত। চার ম্যাচে বাংলাদেশের এটা তৃতীয় পরাজয়।
পুনেতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটি স্বস্তি নিয়ে আসে বাংলাদেশ শিবিরে। দারুণ ব্যাট করেন তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। তবে মারমুখী মেজাজে ছিলেন তানজিদ হাসান। ৪১ বলে ৫০ এর দেখা পেয়ে বিশ্বকাপে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন তানজিদ। তবে বেশি দূর এগুতে পারেন নি। ৫১ রানে তার বিদায়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৯৩ রানে।
ইনজুরি থেকে সাকিব আল হাসান পুরোপুরি সেরে না উঠায় এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হলেও তার ব্যাট হাসেনি। মাত্র ৮ রান করেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। দ্রুত আউট হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ৩ রান করেন মিরাজ। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ১২৯ রান। লিটন দাস ১২তম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি করলেও ৬৬ রানে আউট হয়েছেন। যাকে নিয়ে এই বিশ্বকাপে ভালো কিছুর আশা করেছিল বাংলাদেশ সেই তৌহিদ হৃদয় এখনও কিছুই করে দেখাতে পারেন নি। এই ম্যাচেও ব্যর্থ তিনি। ১৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
মুশফিকুর রহিম ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ৩৮ রানের বেশি লম্বা করতে পারেন নি তার ইনিংস। তবে সাত নাম্বারে নেমে দ্রুত রান তুলেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিন চার আর তিন ছয়ে ৩৬ বলে ৪৬ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও রবিন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
২৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে কোন সমস্যায় পড়েনি ভারত। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের রানে সহজেই জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৪০ বলে ৪৮ রান করেন। ৫৩ রানে আউট হয়েছেন শুভমান গিল।
এরপর ভারতের ইনিংসকে টেনে নিয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। দলীয় ১৭৮ রানে শ্রেয়াস আয়ার আউট হলেও আর কোন উইকেট তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। লুকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ৮৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। ছক্কা হাকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম সেঞ্চুরি করেন কোহলি। ৪১ ওভার ৩ বলে ভারত যখন ৩ উইকেটে ২৬১ রান করে জয় তুলে নেয় বিরাট কোহলি তখন ১০৩ রানে অপরাজিত। রাহুল ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের মেহেদী মিরাজ ২টি ও হাসান মাহমুদ ১ উইকেট নেন।