ক্রীড়া প্রতিবেদক
এবার ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সোমবার প্যালেসের কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানে নেমে গেছে রেড ডেভিলসরা। এর ফলে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে ইউনাইটেডের খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। লন্ডনের সেলহার্স্ট পার্কে মাইকেল ওলিস জোড়া গোল করেছেন। এছাড়া স্কোরশিটে আরো নাম লিখিয়েছেন ইন-ফর্ম জিন-ফিলিপ মাতেতা ও টিরিক মিচেল।
১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর মাত্র একবার ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় অনুপস্থিত ছিল ইউনাইটেড। ১০ বছর আগে ডেভিড ময়েসের অধীনে ঐ আসরে ইউনাইটেড টেবিলের সপ্তম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছিল। যে কারনে মাত্র চার ম্যাচ পরেই স্কটিশ ময়েসকে ইউনাইটেড ছাড়তে হয়েছিল। প্রিমিয়ার লিগের আধুনিক যুগে ইউনাইটেড কখনই সাত নম্বরের নীচে থেকে লিগ শেষ করেনি। রোববার আর্সেনালের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচের আগে ইউনাইটেডের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে তাতে ঐ রেকর্ড হয়তো আর ধরে রাখা সম্ভব নয়।
ইউনাইটেডের এই ব্যর্থতার অন্যতম মূল কারন ইনজুরি সমস্যা। মূল দলের খেলোয়াড়দের ইনজুরি প্রায় সময়ই টেন হাগকে দল নির্বাচনে সমস্যা ফেলেছে। কালও তার ব্যতিক্রম ছিলনা। ডাচম্যান টেন হাগকে বাধ্য হয়েই কাসেমিরোকে সেন্টার-ব্যাক পজিশনে খেলাতে হয়েছে। কাসমিরোর সাথে আরো ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী জনি ইভান্স।
১২ মিনিটে প্রথম গোল করে ওলিস প্যালেসকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধে ইউনাইটেড টার্গেটে একটি শটও করতে পারেনি। উল্টো আরো এক গোল হজম করে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সফরকারীরা। মাতেতা ৪০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেছেন। লিগে ১১ ম্যাচে এটি তার নবম গোল। বিরতির পরও ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। ৫৮ মিনিটে সেট পিস থেকে মিচেল দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ৬৬ মিনিটে শক্তিশালী শটে আন্দ্রে ওনানাকে পরাস্ত করেন ওলিস। আগামী ২৫ মে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে এফএ কাপের ফাইনাল টেন হাগের জন্য সর্বশেষ একটি সুযোগ হতে পারে। অন্তত সেই পর্যন্ত তিনি ইউনাইটেডে টিকে থাকছেন, এতে কোন সন্দেহ নেই।