ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিকেএসপি’র শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৩৭তম জাতীয় বয়স ভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা।বিকেএসপি ৭০টি স্বর্ণ, ৬২ টি রৌপ্য ও ৩২ টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। কুষ্টিয়ার শিলাইদাহ সুইমিং ক্লাব ৬টি স্বর্ণ, ৫টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পেয়ে দ্বিতীয় এবং কুষ্টিয়ার আমলা সুইমিং ক্লাব ৬টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য ও ৪ টি ব্রোঞ্জ পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় সাঁতারে ৪টি ও ডাইভিংয়ে ২টি সহ মোট ৬টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়।
পুরুষ বিভাগে বিকেএসপির মোঃ মনির খান তন্ময় (১৮-২০ যুব) ৯টি স্বর্ণ ও ১টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে সেরা সাঁতারু নির্বাচিত হয়েছে। তন্ময় একটি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ডও গড়েছে। আর মহিলা বিভাগে বিকেএসপির মোছাঃ জুই আক্তার (১৮-২০ যুবতী) ৫ টি স্বর্ণ পদক পেয়ে সেরা সাঁতারু হয়েছে। জুই ২টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছে।
মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে আজ প্রতিযোগিতার শেষ দিনে সাঁতারে ২০ টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। ২০০ মিটার ইন্ডিভিজয়াল মিডলেতে বিকেএসপির জুই আক্তার নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন। জুই সময় নিয়েছেন দুই মিনিট ৪৮ দশমিক ১ সেকেন্ড। আগের রেকর্ড ছিল বিকেএসপির এ্যানি আক্তারের। তিনি সময় নিয়েছিলেন দুই মিনিট ৫১ সেকেন্ড।
বিকেলে পুরস্কার প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন নৌবাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুইমিং ফেডাশেনের সহ-সভাপতি ও মিয়া ভাই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিয়া ভাই ও সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন।
এবার সাঁতারুদের আর্থিক পুরস্কারও প্রদান করা হয়। নতুন জাতীয় রেকর্ডসৃষ্টিকারী সাঁতারুকে পাঁচ হাজার টাকা, স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত সাঁতারুদের দুই হাজার টাকা, রৌপ্য পদক প্রাপ্ত সাঁতারুদের এক হাজার টাকা এবং ব্রোজ পদক প্রাপ্ত সাঁতারুদের পাঁচশত টাকা দেয়া হয়।