ক্রীড়া প্রতিবেদক
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস স্মরণে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন আয়োজন করেছিল বিশেষ প্রদর্শনী কাবাডি ম্যাচের। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট, ২০২৫) সন্ধায় পল্টনের জাতীয় কাবাডি স্টেডিয়ামে পুরুষ ও নারী উভয় দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এই ম্যাচ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। খেলাধুলার মাধ্যমে এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখা একটি চমৎকার উদ্যোগ। কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা এবং এর প্রসারে ফেডারেশনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিশেষ করে তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে দেশজুড়ে কাবাডি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে অনেক নতুন প্রতিভা তুলে আনা হয়েছে।’
তিনি আসন্ন যুব এশিয়ান গেমস নিয়েও কথা বলেন। অক্টোবরে বাহরাইনে অনুষ্ঠিতব্য এই গেমসে ভালো ফলাফলের জন্য খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, কাবাডি দল পদক নিয়ে ফিরবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ তার বক্তব্যে বলেন, ‘কাবাডির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। আমরা খেলোয়াড়দের একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চেষ্টা করছি। জাতীয় দলের পাইপলাইন তৈরির জন্য চারটি কাঠামোতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
প্রথমে অনুষ্ঠিত হয় নারী দলের ম্যাচ। লাল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে খেলেন তারা। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া সবুজ দল শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। প্রথমার্ধে তারা ১৮-৯ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের ব্যবধান আরও বাড়ে এবং শেষ পর্যন্ত ৪০-১৮ পয়েন্টে সহজেই জয় পায় সবুজ দল।
এরপর পুরুষদের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় লাল ও হলুদ দলের মধ্যে। বাহরাইনে যুব এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা এই ম্যাচে অংশ নেন। দুই দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়। প্রথমার্ধে হলুদ দল ১৩-১০ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং ৩১-১৯ পয়েন্টে ম্যাচ জিতে নেয়। খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলম।