ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেষ পাঁচ মিনিটে জন ডুরানের দুই গোলে মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের সাথে ৩-৩ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এ্যাস্টন ভিলা। কিন্তু এখনো আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারেনি ভিলা।
এমিলিয়ানো মার্টিনেজের আত্মঘাতি গোল ও কোডি গাকপো ও জ্যারেল কুয়ানশার গোলে সফরকারী লিভারপুল জয়ের পথেই এগিয় ছিল। আর এতে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা চার ম্যাচে পরাজয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ভিলা। এটাই ছিল জার্গেন ক্লপের অধীনে লিভারপুলের শেষ এ্যাওয়ে ম্যাচ। কিন্তু বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে ডুরান পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন। তার জোড়া গোলে ভিলার গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট নিশ্চিত হয়। পাশাপাশি ১৯৮৩ সালের পর ইউরোপের সর্বোচ্চ আসরে খেলার কাছাকাছিও পৌঁছে গেছে উনাই এমেরির দল।
ব্রাইটনের বিপক্ষে গত সপ্তাহে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচে অনুপস্থিত থাকার পর গোলরক্ষক মার্টিনেজ ফিট হয়ে দলে ফিরেছেন। স্বাগতিকদের হয়ে তার আরো কিছুটা সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার ভুলেই মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে গোল হজম করে বসে ভিলা। হার্ভি এলিয়টের ডিফ্লেকটেড ক্রসে মার্টিনেজ নিজের জালেই বল জড়ান। ম্যাচে ফিরতে খুব একটা সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ওলি ওয়াটকিন্সের ক্রসে ইউরি টিয়েলেমান্স ভিলার হয়ে সমতা ফেরান। ২৩ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে মার্টিনেজকে পরাস্ত করেন গাকপো। বিরতির আগেই ভিলা আবারো সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু দিয়েগো কার্লোসের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
উল্টো দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে এলিয়টের ফ্রি-কিক থেকে কুয়ানশার হেডে ৩-১ গোলের লিড নেয় লিভারপুল। ৬৫ মিনিটে বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে আসা নিকোলো জানিয়েলো ইনজুরিতে পড়লে তার পরিবর্তে ১৪ মিনিট পর মাঠে নামেন ডুরান। নিকোলোর ইনজুরি না হলে হয়তো ডুরানের মাঠে নামা হতোনা। এ্যালেক্সিস ম্যাক এ্যালিস্টারের ভুলে ২০ বছর বয়সী কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার ডুরান ৮৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন। তিন মিনিট পর দিয়াবির পাসে যে গোলটি ডুরান করেছেন তা অনেকদিন মনে রাখবেন ভিলা সমর্থকরা।