মোঃ শফিকুল আলম
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশকে অল্প রানে অলআউট করেও স্বস্তিতে নেই নিউজিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১৭২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দারুন চাপে আছে নিউজিল্যান্ড। ৫ উইকেটে ৫৫ রান করে প্রথম দিন শেষ করেছে সফরকারীরা।
দুই দলের স্পিনাররা টেস্টে রাজত্ব করছেন। আজকের ১৫ উইকেটের ১৩টিই নিয়েছেন স্পিনারা। ব্যাটিং এ নেমে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ২৯ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা। জাকির হাসান ৮ ও মাহমুদুল হাসান জয় ১৪ রান করে ফিরেছেন। চাপে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরতে পারেননি মমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই অঙ্কের ঘর ছোয়ার আগেই ফিরেছেন এই দুই ব্যাটার। মমিনুল ৫ ও শান্ত ৯ রান করেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ৪৭ রান।
এরপর আজকের দিনের বড় পার্টনারশিপ গড়েন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন। এই জুটি থেকে আসে ৫৭ রান। ৩৫ রান করার পর অদ্ভুত এক আউটের শিকার হয়েছেন মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিসনের ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লাগার পর পপিং ক্রিজেই ড্রপ করেছিল। তখন ডান হাত দিয়ে বলকে সরিয়ে দেন মুশফিক। সাথে সাথে আউটের আবেদন করে নিউজিল্যান্ড। থার্ড আম্পায়ারের সহায়তা নেন অনফিল্ড আম্পায়াররা। টিভি রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউটের সিদ্ধান্ত দেন থার্ড আম্পায়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড আউট হন মুশফিক। এর আগে টেস্টে এমন আউট হয়েছেন সাতজন ব্যাটার।
মুশফিকের আউটের পর শাহাদাতও ফিরেছেন দ্রুত। ৩১ রান করেন শাহাদাত। এরপর বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান বলতে মেহেদী মিরাজের ২০ রান। নুরুল হাসান ৭, নাঈম হাসান ১৩, তাইজুল ইসলাম ৬ ও শরিফুল ইসলাম ১০ রান করেন। ৬৬ ওভার ২ বলে ১৭২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মিচেল সান্টনার ও গ্র্যান্ড ফিলিপস তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। দুই উইকেট পেয়েছেন এজাজ প্যাটেল।
এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। বিনা উইকেটে ২০ রান থেকে ৪৬ রানে পাঁচ উইকেট হারায় তারা। মেহেদি মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে খেই হারিয়ে ফেলে সফরকারি দলের ব্যাটাররা। মিরাজ তিনটি ও তাইজুল ২ উইকেট নিয়েছেন। টেস্টের প্রথম দিনে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ ১৩ রান করেছেন কেন উইলিয়ামসন। ডেরিল মিচেল ১২ ও গ্লেন ফিলিপস ৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন