তানজিদের সেঞ্চুরিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাঁ-হাতি ওপেনার তানজিদ হাসানের প্রথম সেঞ্চুরিতে তৃতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দশম আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আজ লিগ পর্বে নিজেদের ১২তম ও শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম ৬৫ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তানজিদ।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে প্লে-অফে নাম লেখালো চট্টগ্রাম। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানেই থাকলো খুলনা। চট্টগ্রামের কাছে হারের ফলে প্লে-অফের আশা অনেকাই নিভে গেছে খুলনার। কারন ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকা ফরচুন বরিশালের চেয়ে রান রেটে অনেক পিছিয়ে পড়েছে খুলনা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওয়াসিমকে হারায় চট্টগ্রাম। ১ রান করে খুলনার স্পিনার নাসুম আহমেদের শিকার হন ওয়াসিম। শুরুতেই সতীর্থকে হারালেও দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রামের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন আরেক ওপেনার তানজিদ। দ্বিতীয় উইকেটে সৈকত আলিকে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৬ রান যোগ করেন তিনি। জুটিতে ৩টি চারে ১৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডারের শিকার হন সৈকত।

সৈকতের সাথে হাফ-সেঞ্চুরির জুটির পর তৃতীয় উইকেটে নিউজিল্যান্ডের টম ব্রুসের সাথে ৬১ বলে ১১০ রান তুলেন তানজিদ। এই জুটি গড়ার পথেই ৩২ বলে হাফ-সেঞ্চুরির পর টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নেন তানজিদ। এবারের বিপিএলে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করতে ৫৮ বল খেলেছেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসে ৩২তম সেঞ্চুরি করলেন তানজিদ।

১৯তম ওভারের প্রথম বলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওয়েন পারনেলের শিকার হওয়ার আগে ৮টি করে চার-ছক্কায় ৬৫ বলে ১১৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন বাঁ-হাতি ব্যাটার তানজিদ। এই ইনিংস খেলার পথে চলতি বিপিএলে এ পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দলীয় ১৭০ রানে তানজিদ ফেরার পর শেষ ১১ বলে ২২ রান যোগ করতে পারে চট্টগ্রাম। ৪ উইকেটে ১৯২ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ২টি চারে ৫ বলে ১০ রান করে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড। ২৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ব্রুস ৩৬ ও অধিনায়ক শুভাগত হোম ৩ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার পারনেল-নাসুম-হোল্ডার ও মুকিদুল ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন।

১৯৩ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে ৬ রানে ফিরিয়ে দেন চট্টগ্রাম পেসার ওমানের বিলাল খান। শুরুতে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়ে খুলনাকে লড়াইয়ে রাখেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ। নবম ওভারে পেসার শহিদুল ইসলামের বলে আউট হন ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারা বিজয়।

দলীয় ৬৭ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিজয় ফেরার পর স্পিনার শুভাগতর ঘূর্ণিতে পড়ে খুলনা। শুভাগত ৩ উইকেট শিকারে ৯৯ রানে ছয় ব্যাটারকে হারায় খুলনা। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২১ বলে ৩১ রান করা হোপ, আফিফ হোসেন (৬) এবং মাহমুদুল হাসান জয়কে ৭ রানে আউট করেন শুভাগত। পরের দিকে লোয়ার-অর্ডার ব্যাটাররা লড়াই করতে না পারলে ১২৭ রানে অলআউট হয় খুলনা। চট্টগ্রামের শুভাগত ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.