ক্রীড়া প্রতিবেদক
মোহামেডানের স্বপ্নভঙ্গ করে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে গেল রহমতগঞ্জ। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জ ২-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডানকে। দুই অর্ধে দুই দল একটি করে গোল করলেও ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে সানডে চিজোবার গোলে ফাইনালে জায়গা করে নেয় রহমতগঞ্জ।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ৫ মিনিটে লিড নেয় মোহামেডান। আলমগীরের কর্ণার থেকে আসা বলে একদম ফাকা জায়গায় থেকে বল জালে জড়ান রাজিব। ২২মিনিটে গোলের সুযোগ তৈরী হয়ে গিয়েছিল মোহামেডানের। গোলকিপারকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন শাহেদ মিয়া। তবে সময়মতো বেরিয়ে এসেছিলেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার রাকিবুল হাসান তুষার।
৩৫ মিনিটে রহমতগঞ্জের আজহার চেষ্টা ছিল। কিন্তু সফল হতে পারেন নি। ৪০ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন শাহেদ মিয়া। মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে খাবার মুখে তুলে দেয়ার মতো বলটা দিয়েছিলেন শাহেদকে। কিন্তু শাহেদ বলটা মারেন গোলকিপার বরাবর। এরপর আশরাফুল হক আসিফের চেষ্টাও কাজে আসেনি।
৬৭ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মোহামেডানের মেসিডোনিয়ার ফুটবলার জেসমিন। ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেয়েই গিয়েছিল মোহামেডান। ওবি মনেকের শট ডান দিকে ঝাপিয়ে কর্ণারে রক্ষা করেছেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার। ৭৯ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে রহমতগঞ্জ। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের জয়ের নায়ক ঘানার ফরোয়ার্ড ফিলিপ আজহা গোল করেন। ৮৮ মিনিটে ফজলে রাব্বির ক্রস থেকে সানডের বাইসাইকেল কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচ যখন মনে হচ্ছিল অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে যাবে তখনই রহমগঞ্জের দুই বিদেশীর ঝলক। ইনজুরি টাইমে ফিলিপ আজহা দারুণভাবে বল নিয়ে বাড়িয়ে দেন গোলমুখে থাকা সানডে চিজোবাকে। দলকে ফাইনালে নিতে বিন্দুমাত্র ভুল করেন নি এই নাইজেরিয়ান। উল্লাসে মাতে রহমতগঞ্জ শিবির। ২০২০ সালের পর আবারও ফেডারেশন কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল রহমতগঞ্জ।