নাটকীয় ম্যাচে সাইফকে হারিয়ে ফাইনালে ঢাকা আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নাটকের পর নাটক। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফেডারশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে একের পর এক নাটক মঞ্চায়িত হল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে সাইফ স্পোর্টিংকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল ঢাকা আবাহনী। আগামী রবিবার শিরোপার লড়াইয়ে আবাহনীর প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ।

ম্যাচের ৪ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয় সাইফের। এমফোন সানডের শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় ঢাকা আবাহনী। রাকিবকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন মঞ্জুরুর রহমান। আবাহনীর অধিনায়ক রাফায়েল অগাস্ত স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।

১২ মিনিটে আবাহনীকে ব্যবধান বাড়াতে দেন নি সাইফের রুয়ান্ডার ডিফেন্ডার এমেরি। রাকিবের শট যখন মনে হচ্ছিল সাইফের জালে জায়গা করে নেবে তখনই গোললাইন সেভ করেন এমেরি। ২০ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। আসরোর গাফুরোভের শট আবাহনীর গোলকিপার সোহেল ফিরিয়ে দিলেও ফিরতে বলে গোল করেন এমফোন সানডে।

২৭ মিনিটে আবাহনীর জীবনকে গোল পেতে দেন নি সাইফের গোলকিপার পাপ্পু হোসেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং। আবাহনীর বাদশাহর ভুলে ভালো জায়গায় বলে পেয়েছিলেন এমফোন সানডে। কিন্তু তিনি শটটা নিলেন গোলকিপার বরাবর। 

৭২ মিনিটে পেনাল্টি পায় সাইফ স্পোর্টিং। স্পট কিক থেকে গোল করেন এমেকা ওগবাগ। ম্যাচে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সাইফ। ৭৯ মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন আবাহনীর অধিনায়ক রাফায়েল। ৮১ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় সাইফ। স্পট কিক থেকে গোল করেন এমেরি। কিন্তু রেফারি জানান আবার শট নিতে হবে। এমেরি আবারও গোল করেন। কিন্তু রেফারি এবারও গোল না দিয়ে পেনাল্টি বাতিল করে দেন। নিয়ম মেনে শট না নেয়ায় দু’বারই এমেরির পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি সায়মন হাসান।

৮৬ মিনিটে দুই দুইবার সুযোগ নষ্ট হয় আবাহনীর। তবে ইনজুরি টাইমে ম্যাচে সমতা আনে ঢাকা আবাহনী। গোল করেন কলিন্ড্রেস। উল্লাস আবাহনী শিবিরে। ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্তি ৩০ মিনিটে। ৯৪ মিনিটে লিড নেয় ঢাকা আবাহনী। গোল করেন রাকিব হোসেন। ম্যাচে রেফারিও পরিবর্তন হয়েছে। ১০১ মিনিটের সময় রেফারি সায়মন অসুস্থ বোধ করায় মাঠ ছেড়ে যান। এরপর খেলা পরিচালনা করেন চতুর্থ রেফারি নাহিদ।

১০৪ মিনিটের সময় সুযোগ নষ্ট করেন সাইফের এমফোন সানডে। ১১৫ মিনিটে সাইফকে সমতায় ফিরতে দেন নি আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল। সোহেল আবারও দলকে বাচিয়েছেন কাউসার আলী রাব্বীর শটে বা দিকে ঝাপিয়ে পড়ে। তবে নাটকের বাকি ছিল তখনও। ১২৩ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা সাজ্জাদ হোসেন গোল করে ম্যাচকে নিয়ে যান টাইব্রেকারে।

সেখানে নায়ক আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল। এমফোন সানডে ও জামাল ভূইয়ার শট ঠেকিয়ে আবাহনীকে নিয়ে যান ফেডারেশন কাপের ফাইনালে।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.