মোঃ শফিকুল আলম
৬০ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিদ সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট না করলে আর ৭৯ মিনিটে তারীক কাজী ভুল না করলে লেবাননের বিপক্ষে পরাজয় নয় ফলাফল হয়তো অন্য রকমও হতে পারতো। কিন্তু বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। দুটি গোল হজমের পেছনে ডিফেন্সের দায় রয়েছে। লেবানন দুটি গোলই করেছে দ্বিতীয়ার্ধে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৯৩ ধাপ এগিয়ে লেবানন। কিন্তু একটা সময় বাংলাদেশ লেবাননকে কি দারুণভাবেই না চেপে ধরেছিল। লাল সবুজ জার্সিতে এই ম্যাচে অভিষেক হয় ঈসা ফয়সালের। আর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেন তপু বর্মন।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছিল লেবানন। ৩৪ মিনিটে কর্ণার থেকে আসা বলে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল তারা। কিন্তু জিকোর কারণে পারেনি। জিকো আরেকবার দলকে বাঁচিয়ে দেন। ৪৩ মিনিটে সুযোগ এসে গিয়েছিল ফাহিমের সামনে। শটও নিয়েছিলেন ফাহিম। কর্নারে রক্ষা করেন লেবাননের গোলকিপার।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৫ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করে লেবানন। ৫৮ মিনিটে একইসাথে তিনটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। আর তাতেই গতিবেড়ে যায় বাংলাদেশের খেলায়। ৬০ মিনিটে ম্যাচের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। মোরসালিন দারুন একটি বল বাড়িয়ে দেন ফাহিমের উদ্দেশ্যে ।লেবাননের গোলকিপারকে একদম একা পেয়ে গিয়েছিলেন ফাহিম। সময়ও পেয়েছিলেন বেশ। কিন্তু গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি।
৭৯ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে বাংলাদেশ। তারিক কাজী নিয়ন্ত্রণ হারালে বল চলে যায় করিম দার্ভিসের কাছে। তিনি বাড়িয়ে দেন জায়গামতো থাকা
হাসান মাতুকের কাছে। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেন নি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লেবানন। গোল হজম করার পর ছন্দ কিছুটা হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত ছয় মিনিটের সময় ব্যবধান বাড়ায় লেবানন। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে একদম ফাঁকায় গোল করেন খলিল। ২-০ গোলে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। গ্রুপে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে আগামী রোববার মালদ্বীপের বিপক্ষে। এই গ্রুপের অপর দল ভুটান।