ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রীতি ফুটবল ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল শূন্য সমতায় শেষ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। আজ কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের চাপে রেখেও জয়ের দেখা পায়নি হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। নিতে পারেনি তিন বছর আগের হারের শোধ।
আক্রমণে উঠে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়া। ঠিক মতো পাস দিতে না পারা। বক্সে ভালো বল পেলেও ফিনিশিং টানতে না পারা সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়মিত চিত্র। হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম বাংলাদেশ ফুটবলে যোগ দেওয়ায় এই আক্ষেপ আরও বেড়েছে।
হামজা-শমিতে মিডফিল্ডে পূর্বের তুলনায় বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ বেড়েছে। ফরোয়ার্ডে বেড়েছে বলের সাপ্লাই। সঙ্গে বেড়েছে সুযোগ মিসের আক্ষেপ। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম প্রীতি ম্যাচে তারা না থাকায় মিডফিল্ডের ওই নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হারায় বাংলাদেশ। যে কারণে পরিসংখ্যান বলছে, নেপাল ও বাংলাদেশের বলের দখল ছিল সমান ৫০ শতাংশ।
তবে গোলের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। চারটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন রাকিবুলরা। যার দুটি ভালো ফিনিশ করার মতো ছিল। কিন্তু গোলের লক্ষ্যে দুই শট নিয়ে বাংলাদেশ উল্লাসের উপলক্ষ্য পায়নি একবারও। অন্যদিকে নেপালের দুটি আক্রমণও ছিল গোল মুখে। নেপালকে একটি কর্ণার কিক নেওয়ার সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ তিনটি কর্ণার পেলেও তা জালে যাওয়ার উপক্রম হয়নি। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর একই মাঠে নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবেন জামাল ভূইয়ারা।