ক্রীড়া প্রতিবেদক
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। লিটন দাসদের সামনে সুযোগ ছিল পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার। পাকিস্তান থেকে সঙ্গী করে ফেরা লজ্জা ফিরিয়ে দিয়ে প্রতিশোধের লক্ষ্যে একাদশে পাঁচ পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। টি-২০’র ‘মৌলিক সমন্বয় ভেঙে’ হিতে বিপরীত হয়েছে। টপের পর ভঙ্গুর মিডল অর্ডারের ধসে টি-২০তে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিন সেই রাঙানিতে থামালেও ১৬.৪ ওভারে ১০৪ রানে ধসে গেছে স্বাগতিকরা। ৭৪ রানের বড় হারে সিরিজ শেষ করেছে ২-১ ব্যবধানে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং নেন অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু নতুন বলের সুবিধা নিতে পারেনি তার বোলিং লাইন আপ। পাকিস্তানি ওপেনার সাঈম আইয়ূব ও ফখর জামানের জায়গায় একাদশে ঢোকা শাহিবজাদা ফারহান ওপেনিংয়ে ৮২ রান যোগ করেন। সাঈম ১৫ বলে ২১ রান করেন। শাহিবজাদা ৪১ বলে দলের পক্ষে সর্বাধিক ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কার শট আসে। তিনি ১১.১ ওভারে দলের ৯৩ রানে আউট হন। ওই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্রামে থাকা ওপেনার তানজিদ তামিম উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। পরের ওভারে সাজঘরে হাঁটা দেন অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি ৮ বলে খেলেন ৮ রান। তাওহীদ হৃদয়ের জায়গায় একাদশে ঢুকে চারে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদী মিরাজ ৮ বলে ১০ রান করে ক্যাচ দেন। ২২ রানে ৩ থেকে ২৫ রানে ৫ উইকেট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ভালো খেলা জাকের আলী ১ ও শেখ মেহেদি শূন্য করেন।
তখনো উইকেটে টিকে ছিলেন ওপেনার নাঈম শেখ। কিন্তু তিনি নিজের বা দলের রান বাড়িয়ে নিতে পারেননি। ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর অপেক্ষা করার মতো ১৭ বলে ১০ রান করে আউট হন। বাংলাদেশকে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা থেকে মুক্তি দেওয়ার লড়াইয়ে নামা নাসুম আহমেদ দলের ৬৫ রানে ফিরে যান ৯ রান করে। শেষ মেষ সর্বনিম্ন টি-২০ রান ৭০ কিংবা একশ’র আগে অলআউটের লজ্জা থেকে মুক্তি দেওয়া সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি।