প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০২৩ সালটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে ব্রাজিলের। গেল বছর ৯ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হেরেছিল সেলেসাওরা। তবে গেল বছরের দুঃস্বপ্ন ভুলে ২০২৪ সাল নতুন করে শুরু করতে মরিয়া ব্রাজিল। আর সেই লক্ষ্যে বছরের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি সেলেসাওরা। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এদিন নিজের অভিষেক গোল করেন ১৭ বছর বয়সী এন্ড্রিক। আর তার গোলেই জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের প্রীতি ম্যাচে এন্ড্রিকের ওই একমাত্র গোলে জয়ের হাসি হেসেছে ব্রাজিল। দরিভালের কোচিংয়ে এটাই তাদের প্রথম ম্যাচ।

গেল বছরের শেষ চার ম্যাচেই জয়শূন্য। যার মধ্যে হেরেছিল শেষ তিন ম্যাচে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ড্রয়ের পর হারে সবশেষ তিন ম্যাচে উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ছয় মাস পর অবশেষে এবার জয়ের স্বাদ পেল রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চোটজর্জরিত ব্রাজিল একাদশ সাজাতেই হিমশিম খেয়ে যায়। তবে ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো আর রাফিনহাদের নিয়ে সাজানো আক্রমণভাগ শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকে। চোটগ্রস্ত ব্রাজিল দলে এদিন অভিষেক হয় পাঁচ জনের। ঢিমেতালে শুরু ম্যাচে নবম মিনিটে প্রথম সুযোগটা পায় সফরকারীরা। ২০ গজ দূর থেকে রদ্রিগোর শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক।

৩৫তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ডি বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া পাকেতার শট পোস্টে লেগে গোল বঞ্চিত করে ব্রাজিলকে। অন্যদিকে প্রথম ৪০ মিনিটে তেমন কোনো পরীক্ষার মুখেই পড়তে হয়নি ব্রাজিলকে।

ম্যাচের ৭১তম মিনিটে রদ্রিগোর বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় তরুণ এন্ড্রিককে। মাঠে নামার ৯ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নেন এই ফরোয়ার্ড। ডান দিক থেকে আসা লং বল ধরে ইংলিশ রক্ষণকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকেন ভিনিসিয়াস। গোলরক্ষককে একা পেয়ে শট নিলেও তা ফিরিয়ে দেন পিকফোর্ড। ফিরতে বল পেয়ে বল জালে জড়ান এন্ড্রিক।

সেলেসাওদের হয়ে তৃতীয় ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পেলেন এন্ড্রিক। ১৮ বছর পূর্ণ হলে পালমাইরাস থেকে আগামী গ্রীষ্মে রিয়ালে যোগ দেবেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড আরেকটু তেতে উঠবে কী, উল্টো তারা যেন বিবর্ণ হয়ে পড়ে। বাকি সময়ে তারা বেন্তোকে একবারের জন্যও পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। একেবারে শেষ সময়ে এন্ড্রিক দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতেও পারতেন। তবে তার শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বড় হতে দেননি পিকফোর্ড।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.