ক্রীড়া প্রতিবেদক
দাপুটে জয়ে স্বাধীনতা কাপ শুরু করল জায়ান্ট বসুন্ধরা কিংস। ডি গ্রুপে বসুন্ধরা ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ছে নৌবাহিনীকে। কিংসের জার্সিতে অভিষেকটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন বসুন্ধরার নতুন বিদেশী রিক্রুট বসনিয়ার স্টুয়ান ভ্রানিয়াস। দুই গোল করেছেন তিনি।
জমজমাট ম্যাচের আশায় ছিল সবাই। কারণ জাতীয় দলের মোড়কে নৌবহিনী ফুটবল দল। বর্তমান জাতীয় দল ও আগে জাতীয় দলে খেলেছেন এমন নয়জন ফুটবলার নৌবাহিনীর সেরা একাদশে। আর দুই দল মিলে এই ম্যাচের সেরা একাদশে ছিলেন জাতীয় দলের ১৬ জন। কিন্তু বসুন্ধরার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নেভি ফুটবল দল।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নয় মিনিটেই এগিয়ে যাচ্ছিল বসুন্ধরা কিংস। নৌবাহিনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল বল গ্রিপে নিতে না পারলে সুযোগ এসে যায় বসুন্ধরার সামনে। তবে নৌবাহিনীকে বিপদ থেকে বাচিয়েছেন রায়হান হাসান।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে বসুন্ধরার আক্রমণে এলোমেলো নৌবাহিনীর ডিফেন্স। ৪১ মিনিটে লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। জনাথনের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন বসনিয়ার স্টুয়ান ভ্রানিয়াস। দুই মিনিট পর আবার বসুন্ধরার গোল। ইব্রাহিমের পাস থেকে এবার নেভির জালে বল জড়ান জনাথন।
দুই গোলের লিড নিয়েও গোলক্ষুধা কমেনি বসুন্ধরার। ৬৮ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন স্টুয়ান ভ্রানিয়াস। ইব্রাহিম দারুণ একটা ক্রস দেন ভ্রানিয়াসকে। বল বাতাসে থাকতেই বা পায়ের টোকায় গোল করেন এই বিদেশী। ম্যাচে এটা দ্বিতীয় গোল স্টুয়ানের।
৭৯ মিনিটে গোল করেন ম্যাচে বদলি হিসেবে নামা এলিটা কিংসলে। ব্রাজিলিয়ান রবসনই বা বাদ যাবেন কেন। ৯১ মিনিটে রবসনের গোলে স্কোরলাইন হয় ৫-০। নৌবাহিনীর ফুটবলাদেরও গোলের আশা পূরণ হয়েছে। তবে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে হাবিবুর রহমান আত্নঘাতি গোল করলে ৬-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস। এবারের স্বাধীনতা কাপে এখন পর্যন্ত কোন দলের এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।