ক্রীড়া প্রতিবেদক
ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন ক্লাব যা করে দেখাতে পারেনি তাই করতে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। নিজেদের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলবে ঘরোয়া ফুটবলের জায়ান্ট বসুন্ধরা কিংস। আগামীকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি বসুন্ধরা কিংস ও পুলিশ এফসির ম্যাচ দিয়ে যাত্রা হবে বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে এই ফুটবল স্টেডিয়ামের।
কি নেই এই বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। আন্তর্জাতিক মানের সব কিছুই সংযোজন করা হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। ড্রেসিং রুম যে কারও নজড় কাড়বে। সংবাদ মাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আজ সব কিছু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান। স্টেডিয়ামের কাজ এখনও বাকি আছে। বসবে আন্তর্জাতিক মানের ফ্লাড লাইট। পুরো স্টেডিয়াম তৈরী হয়ে গেলে এখানে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচও আয়োজন সম্ভব বলে জানিয়েছেন বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান। বসুন্ধরা কিংস যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে অন্য ক্লাবগুলো তাতে উৎসাহিত হয়ে একই পথে হাটবে বলে মনে করেন তিনি। আগামী চার মাসের মধ্যেই বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বলে আশা করছেন ইমরুল হাসান।
ফুটবল স্টেডিয়াম ছাড়াও বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বাকি কাজও এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। ১৫ হাজার কোটি টাকার বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে আউটডোর ইনডোর সব রকমের খেলার আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থা থাকছে। নির্মাণ হচ্ছে ফ্লাডলাইট সুবিধা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের দুটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যার একটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা বিশ হাজার। আর আরেকটি তিন হাজার।
এছাড়াও তৈরী হচ্ছে হকি স্টেডিয়াম। বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আরও থাকছে ১০০ গলফার যেন অনুশীলন করতে পারে এমন সুবিধা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের গলফ কোর্স। বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেনিস কোর্ট, কাবাডি, আরচ্যারি, স্কোয়াশ, ভলিবল, বাস্কেটবল, শুটিং, ভারোত্তোলন, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ান্দো খেলার ব্যবস্থা থাকছে বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে।
এছাড়া অলিম্পিক সাইজ সুইমিং পুল, শিশু ও নারীদের জন্য আলাদা সুইমিং পুল, দশ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পুরুষ ও নারীদের আলাদা ইয়োগা সেন্টার গড়ে উঠছে। আগামী দিনের খেলোয়াড় তৈরীতে একাডেমিও গড়ে উঠছে। যেখানে থাকবে ছয়তলা বিশিষ্ট ডরমেটরী। ২০২৪ সালের জুনে পুরো কমপ্লেক্সের কাজ শেষ করার আশা করছে বসুন্ধরা গ্রুপ।