ক্রীড়া প্রতিবেদক
খেলাধুলায় বিশ্বমঞ্চে ইন্দোনেশিয়া আলাদা নজর কাড়ে ব্যাডমিন্টন দিয়ে। ফুটবল, ফুটসাল, বাস্কেটবল, ভলিবল ইন্দোনেশিয়ায় জনপ্রিয় খেলা হলেও দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে সফল খেলা হচ্ছে ব্যাডমিন্টন। এই খেলায় ইন্দোনেশিয়া কতোটা পারদর্শী তার প্রমাণ পাওয়া গেল ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জুনিয়র ইন্টারন্যাশনাল সিরিজে। শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় পাঁচটি ইভেন্টের সবকটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার শাটলাররা।
ব্যাডমিন্টনে ইন্দোনেশিয়া আসলে কতটা সফল সেটা জানা যাবে অলিম্পিক গেমস এর ইতিহাসে তাদের পদক তালিকায় চোখ রাখলে। অলিম্পিক গেমস থেকে ইন্দোনেশিয়ায় এ পর্যন্ত ১০ টি সোনা জিতেছে যার আটটিই এসেছে ব্যাডমিন্টন থেকে। ১৯৯২ সালে অলিম্পিক গেমসে ব্যাডমিন্টন প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে ২০১২ ও ২০২৪ অলিম্পিক গেমস ছাড়া বাকি সবকটি অলিম্পিক গেমস থেকেই ব্যাডমিন্টনে সোনা জিতেছে ইন্দোনেশিয়া। অলিম্পিক গেমসে ব্যাডমিন্টনের বাইরে ইন্দোনেশিয়া যে দুটি সোনা জিতেছে সেটি এবারই প্যারিস অলিম্পিকে। এবার প্যারিস অলিম্পিক থেকে স্পোর্ট ক্লাইম্বিং ও ওয়েট লিফটিংয়ে সোনা জিতেছে ইন্দোনেশিয়া। এবার ব্যাডমিন্টন থেকে তাদের সাফল্য ব্রোঞ্জ পদক জয়।
বিশ্ব মঞ্চে ইন্দোনেশিয়ার এই সাফল্য প্রমাণ করে ব্যাডমিন্টনে তারা কতটা শক্তিশালী। ইন্দোনেশিয়া যখন কোন টুর্নামেন্টে খেলবে সেখানে দাপট তো দেখাবেই। বাংলাদেশ জুনিয়র ইন্টারন্যাশনাল সিরিজে পাঁচটি ইভেন্টের মধ্যে দুটিতে আবার নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার শাটলারদের। মিক্সড ডাবলস ও ছেলেদের এককের ফাইনালে একে অন্যের মুখোমুখি হয় ইন্দোনেশিয়ার খেলোয়াড়রা। বাকি তিনটি ইভেন্টে রানার্সআপ হয়েছে ভারতের শাটলাররা।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণে বিজয়ের মঞ্চে ইন্দোনেশিয়ার ছিল জয়জয়কার। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেছ উর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুন নাহার ডানা। জুনিয়র ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ শেষে এবার ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট।