বিপিএলে হ্যাটট্টিক জয় খুলনার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দুই বিদেশী শ্রীলংকান দাসুন শানাকা ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজের অলরাউন্ড নৈপুন্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্টিক জয়ের স্বাদ পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খুলনা ২৮ রানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সকে। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নয় ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম কোন দল রানের ব্যবধানে জিতলো। খুলনা হ্যাট্টিক জয় পেলেও তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল রংপুর। খুলনার শানাকা ব্যাট হাতে ৪০ রান ও বল হাতে ২ উইকেট নেন। নওয়াজ ব্যাট হাতে ৫৫ রানের পর বল হাতে ২ উইকেট শিকার করেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে রংপুরের স্পিনার মাহেদি হাসানের বলে খালি হাতে বিদায় নেন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। সতীর্থকে হারালেও মারমুখী মেজাজে ছিলেন আরেক ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস। আফগানিস্তানের আজমতুল্লাহ ওমরজাইর করা পঞ্চম ওভারে ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ১৮ রান তুলেন লুইস। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কে ৭ রানে শিকার করে খুলনা শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মাহেদি।

এরপর আফিফ হোসেন ও লুইসকে আউট করে খুলনাকে চাপে ফেলেন পেসার হাসান মাহমুদ। আফিফকে ৪ ও লুইসকে ৩৭ রানে শিকার করেন হাসান। ২৫ বল খেলে ৩টি করে চার-ছক্কা মারেন লুইস। ৬৪ রানে ৪ উইকেট পতনের পর খুলনার হাল ধরেন শ্রীলংকার দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ৫৩ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে খুলনাকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন তারা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রানের পুঁজি পায় খুলনা।

শানাকা ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৪০ রানে আউট হলেও, ছক্কা মেরে ৩৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করেন নওয়াজ। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। রংপুরের হাসান ৩টি ও মাহেদি ২টি উইকেট নেন। সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ২১ রানে দিয়ে উইকেটশূণ্য ছিলেন।

জয়ের জন্য ১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় রংপুর। আগের ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরিতে দলের জয়ে অবদান রাখা পাকিস্তানের বাবর আজমকে ২ রানে লেগ বিফোর আউট করেন খুলনার পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। তিন নম্বরে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রান্ডন কিংকে ১ রানে বোল্ড করেন স্পিনার নওয়াজ। শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটে ৩২ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার রনি তালুকদার ও শামিম হোসেন। টেস্ট মেজাজে খেলা রনি ২৫ বলে ১৫ রান করে শানাকার শিকার হন।

রনির আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে রংপুর। ৮০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় তারা। এসময় শামিম ২২ বলে ৩০, ওমরজাই ৪, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১ ও চোখের সমস্যায় এক ম্যাচ পর খেলতে নামা সাকিব ২ রান করেন।

লড়াই থেকে দল ছিটকে গেলেও ব্যাট হাতে শেষ চেষ্টায় মগ্ন ছিলেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। কিন্তু ৩০ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো নবির ৫০ রানের দারুন ইনিংসে রংপুরের হারের ব্যবধানটাই শুধুমাত্র কমেছে। ৮ বল বাকী থাকতে ১৩২ রানে অলআউট হয় রংপুর। খুলনার শানাকা ১৬ রানে ৪টি, নাওয়াজ-ওয়াসিম ২টি করে উইকেট নেন।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.