কাতার থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক
দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটলো। দুই দলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বজয় করলো আর্জেন্টিনা। বিশ্বজয় করলেন লিওনেল মেসি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আলবিসেলেস্তেরা নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের বিপক্ষে হোঁচট খায়। তবে বিশ্বকাপে টিকে থাকা অনেকটা অনিশ্চিত ছিল যে দলটির জন্য আজ সেই দলের হাতেই তৃতীয় বিশ্বকাপের শিরোপা। দীর্ঘ সাধনার পর অবশেষে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুললো ডিয়েগো ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা।
কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে কাতার সময় সন্ধ্যা ৬ টায় আর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হয় এই দুই দলের লড়াই। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। ফরাসি রক্ষণকে ব্যস্ত রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লিওনেল মেসির দল। যার ফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ম্যাচের ২১ তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার ডি মারিয়া। আর এতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় স্ক্যালোনির দল। লিওনেল মেসির সফল স্পট কিকে ২৩ তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এই বিশ্বকাপে মেসির এটি ষষ্ঠ গোল।লিওনেল মেসির গোলের পর প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে দুই গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। পরপর দুই গোলের দেখা পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আর্জেন্টিনার ডিবক্সে ৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ৮০ মিনিটে গোল পান এমবাপে। এরপরের মিনিটেই ফের গোল করেন এমবাপে। পরে অতিরিক্ত সময়ের ১০৯ মিনিটে লিওনেল মেসির দুর্দান্ত গোলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এরপর আবার পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। গোল করে হ্যাট্রিক করেন এম্বাপে। চরম নাটকীয়তা শেষে অতিরিক্ত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকায় পেনাল্টি শুটআউটে গড়ায় আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালটি। আর সেখানে বাজিমাত করে আর্জেন্টিনা।