ভারত ও নেপালকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্দা উঠছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ অংশ নিচ্ছে পাঁচ দল। টুর্নামেন্টের বাকি চার দল হচ্ছে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও ভূটান। নেপাল আজ বিকেলে ঢাকায় এসে পৌছেছে।

টুর্নামেন্টের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করতে বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণে সভাপতিত্বে ফুটবল ফেডারেশনের অর্গানাইজিং কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমে মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, টুর্নামেন্ট সফলভাবে শেষ করতে সবকিছুই সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ‘আমাদের প্রটোকল, রিসিপশন কমিটি, হোটেলে দলগুলোর থাকার ব্যবস্থা, পরিবহণ, নিরাপত্তা, বায়োবল মেন্টেইন করে দলগুলোকে হোটেলে নিয়ে আসা এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

সংস্কারের কারণে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। অনেক খেলা রয়েছে। কমলাপুর স্টেডিয়ামেই সব হচ্ছে। তাই সমন্বয় করেই সবকিছু সম্পন্ন করতে হচ্ছে। আর কমলাপুর স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপ, বঙ্গমাতা ফুটবল চলমান থাকার কারণে ১০ ডিসেম্বরের আগে সেখানে দলগুলো অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছে না। বাফুফের আর্টিফিশিয়াল টার্ফেই অনুশীলন করবে দলগুলো। ১০ ডিসেম্বর থেকে নিয়ম অনুযায়ী সব দলকেই কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ দেয়া হবে’।

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা সরাসরি সম্প্রচার করার কথা রয়েছে বিটিভি ও টি স্পোর্টসের। তবে স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে বসেও খেলা দেখতে পারবেন দর্শকরা। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন, করোনাকালে ৫০ ভাগ আসন বরাদ্দ থাকবে দর্শকদের জন্য। ‘কোভিডের কারণে অনেক কিছুর এখন বিধি নিষেধ রয়েছে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে সিটিং ক্যাপাসিটি আছে ১০ থেকে ১১ হাজার। আমরা ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি আসন বরাদ্দ দিতে পারছি না। নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে দর্শকদের মাঝে আগ্রহ তৈরীতে বাফুফে থেকে আমরা কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি’।

পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ভালো ফলের আশা করছে সবাই। দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রস্তুতি অনেক ভালো। ‘টুর্নামেন্টের যে বাকি চারটি দল আছে প্রত্যেকটি দলই কিন্তু শক্তিশালী। বিগত সময়ে এই দলগুলোর বিপক্ষে আমরা যেভাবে খেলেছি তারা কিন্তু গত দুই তিন বছরে অনেক উন্নতি করেছে। তারা একাডেমি থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে নিয়ে এসেছে।

আমাদের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি, হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে এই মেয়েদের আমরা একভাবে ধরে রাখেতে পেরেছি। করোনাকালেও তারা যখন বাসায় অবস্থান করেছিল তখনও তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বাফুফের। এছাড়া জুমের মাধ্যেমেও নিয়মিত অনুশীলন করানো হয়েছে মেয়েদের। আমাদের দলও শক্তিশালী। আমরা ভারত ও নেপালকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবছি’।

Related articles

Comments

Share article

spot_img

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.