ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিকে ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গেল বাংলাদেশ। নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। গোল করতে করতে ক্লান্ত বাংলাদেশের মেয়েরা এক সময় উল্লাসই থামিয়ে দেয়। ছয় বছর পর আর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ কতোটা অপ্রতিরোধ্য তার জন্য একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। ফাইনালের পথে চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২০ গোল দিয়েছে বাংলাদেশ। বিপরীতে কোন গোল হজম করেনি সাবিনারা।
সাফের এই টুর্নামেন্টে আগের সব আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে যেখানে গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ সেখানে ভুটানকে কতো গোলের ব্যবধানে হারাবে সাবিনারা সেটাই ছিল দেখার। ভুটানের জালে প্রথমার্ধে চার গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল দিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ২ মিনিটে গোল করেন সিরাত জাহান স্বপ্না। ১৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ম্যাচে ভুটানকে কোন সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ। ব্যবধান বাড়ানোর দিকেই মনযোগি ছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ৩০ মিনিটে কৃষ্ণা রানী সরকার গোল করলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-০। পাঁচ মিনিট পর আবারও গোল। এবার গোল করেন রিতু পর্ণা চাকমা। চার গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয়ার্ধেও গোল ক্ষুধা কোন অংশে কমেনি। ৫৪ মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সাবিনা খাতুন।
বাংলাদেশের সামনে একদম অসহায় হয়ে গিয়েছিল ভুটান। ৫৭ মিনিটে মাসুরা পারভীন বাংলাদেশের হয়ে ছয় নাম্বার গোলটি করেন। স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন তহুরা খাতুনও। ৮৭ মিনিটে গোল করেন তহুরা। ৭-০ গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ দলের বাকি ছিল সাবিনার হ্যাটট্রিক। সেটাও বাংলাদেশের অধিনায়ক করে ফেলেন ম্যাচের ইনজুরি টাইমে। সেমিফাইনালে ৮-০ গোলের জয়ে ফাইনালে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে সাবিনারা। ১৯ সেপ্টেম্বর শিরোপার লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল।