ক্রীড়া প্রতিবেদক
বৈশাখ মাসে প্রচন্ড গরমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারণী আবাহনী মোহামেডান ম্যাচে উত্তেজনার পারদ চরমে। মোহামেডানের অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে আসা ম্যাচটায় মারামারিতে এমনভাবে শেষ হবে সেটাও ছিল অবিশ্বাস্য। হাতাহাতির পরই বাধে বিপত্তি। আম্পায়ারের লাল কার্ডের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে মোহামেডান আর মাঠেই ফিরেনি। মোহামেডানের সিয়াম ও দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাঈমকে লাল কার্ড দেখান আম্পায়ার। প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান দল।
আম্পায়ররা মাঠে অপেক্ষার পরও মোহামেডান খেলায় ফিরতে রাজি না হওয়ায় আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ম্যাচে তখন ৩-২ গোলে এগিয়ে মোহামেডান। আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও বিজয়ের মালা পড়ে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে উল্লাস করেছে মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। আবাহনী ও মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট হওয়ায় এখন দুদলের মধ্যে প্লে অফ ম্যাচ হবে বলে জানিয়েছেন হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ।
এসব ঘটনা বাদ দিলে কি টান টান উত্তেজনাকর একটা ম্যাচই না হতে যাচ্ছিল। অঘোষিত ফাইনাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের এই শেষ ম্যাচ। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। কিন্তু তৃতীয় কোয়ার্টারে মোহামেডান কি অবিশ্বাসভাব্যে প্রত্যাবর্তনের গল্পটাই না লিখলো। পুরো গল্পটাই লিখেছেন ফাইজাল বিন সারি। মোহামেডানকে শুধু সমতায় ফেরান নি হ্যাটট্রিক করে প্রথমবারের মতো লিডও এনে দিয়েছেন। কিন্তু মারামারি আর লাল কার্ডে দারুণ এক ম্যাচের স্বাক্ষী হওয়া হলো না মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের দর্শকদের।