মোঃ শফিকুল আলম
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেটা ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে করে দেখাল বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচ দাপুটের সাথে খেলে গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাকিব, তারিক কাজী ও মোরাসালিনের গোলে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হারিয়েছে মালদ্বীপকে। প্রথমে এক গোল হজম করে প্রতিপক্ষের জালে আরও তিন গোল দিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে মালদ্বীপ একই ব্যবধানে হারিয়েছিল ভূটানকে। তাই সাফ চ্যাস্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে যে ম্যাচ খেললো বাংলাদেশ তাতে সুযোগগুলো হাতছাড়া না করলে আরও বড় জয় পেতে পারতো।
শুরু থেকেই মালদ্বীপের উপর আক্রমণাত্নক বাংলাদেশ। ৭ মিনিটে ভালো একটা প্রচেষ্টা ছিল। সোহেল রানা বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাকিবের উদ্দেশ্যে । কিন্তু রাকিব ঠিক সময় পৌঁছাতে পারেননি। ১১ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্ণার থেকে হেড নিয়েছিলেন সোহেল রানা। কিন্তু প্রস্তুত ছিলেন মালদ্বীপের গোলকিপার।
তবে ১৮ মিনিটে লিড নেয় মালদ্বীপ। ম্যাচে প্রথম সুযোগ পায় তারা। আর সেটাকে গোলে পরিণত করেন হামজা মোহাম্মেদ। এরপর জিকোর ভুলে দ্বিতীয় গোলও হজম করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে যাত্রায় আর বিপদ হয়নি। ৩৪ মিনিটে কর্ণার থেকে জটলায় ভালো সুযোগ এসে গিয়েছিল বাংলাদেশের সামনে।
৪২ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে বাংলাদেশ। সোহেল রানার ক্রস থেকে তপু বর্মণের হেড চলে যায় জায়গা মতো দাড়িয়ে থাকা রাকিবের কাছে। ভুল করেন নি রাকিব। তার হেড জায়গা করে নেয় মালদ্বীপের জালে। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
৬৭ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কর্ণার থেকে তৈরি হওয়া জটলায় গোল করেন তারিক কাজী। ৭১ মিনিটে ভালো একটা শট নিয়েছিলেন মোরসালিন। কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় গোলকিপার। তবে মোরসালিন হাল ছাড়েন নি। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে চোখ ধাধানো গোল করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন মোরসালিন। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও মোরসালিন আলোচনায় থাকলেন বাংলাদেশের জার্সিতে গোল করে। ৯০ মিনিটে তার বা পায়ের শট জাল খু্জে নিলে ৩-১ গোলের জয়ে খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। ২০ বছর পর সাফে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম জয় বাংলাদেশের। সাফের সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ২৮ জুন ভূটানের বিপক্ষে।