মোঃ শফিকুল আলম
বসুন্ধরা কিংস এরেনায় বাংলাদেশের ফুটবলারদের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস। এ যেনো বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ। গ্যালারিতে হাজারো দর্শকের জয়ধ্বনি। বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্লোগানে মুখরিত চারদিক। নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক সমর্থক তো মাঠেই ঢুকে গেলেন। বাংলাদেশের এই বিশেষ মুহূর্তকে কাছ থেকে উপলব্ধি করবেন। পরে অবশ্য তাকে মাঠ থেকে বের করে নেয়া হয়। দলের প্রতিটি ফুটবলারের পরিশ্রম বিফলে যায় নি। ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের মূল বাছাইপর্বে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। রাকিব ও ফাহিমের গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছে ২-১ গোলে।
কি ছিল না এই ম্যাচে। টান টান উত্তেজনায় কেটেছে প্রতিটা মুহূর্ত। ৩৮ মিনিটের মতো দশ জন নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। তারপরও বাংলাদেশকে টলাতে পারেনি মালদ্বীপ। প্রথম লেগের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। তাই যে দলই জিতবে তারাই জায়গা করে নিবে বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে।
এই সমীকরণে ম্যাচের ১২ মিনিটে রাকিবের গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। ফাহিমের বাড়িয়ে দেয়া বলে নিখুঁত ফিনিশিং রাকিবের। ১৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। জামাল ভূঁইয়া ভালো বলের যোগান দিয়েছিলেন। ফাহিম বলের নাগালও পেয়েছিলেন। কিন্তু ঠিকমতো মারতে পারেন নি। যেটুকু পেরেছেন তাতে মালদ্বীপের গোল কিপারের কারণে সফল হতে পারেন নি।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন রাকিব। গোল কিপারকে একদম একা পেয়ে গিয়েছিলেন। বল উপর দিয়ে উঠিয়ে দিলেই জালে জায়গা করে নিত।
৩৪ মিনিটে আবারো সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। জামালের বাড়িয়ে দেয়া বলে রাকিবের চেষ্টা লক্ষ্যভেদ করেনি। তবে ৩৬ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে মালদ্বীপ। গোল করেন ইব্রাহিম।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে আবারো লিড নেয় বাংলাদেশ। স্বাগতিক শিবিরে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। প্রথমে সাদ উদ্দিন গোলমুখে শট নিয়েছিলেন। গোল কিপের ঠেকিয়ে দিলেও এরপর ফাহিম দারুন শটে বল জালে জড়ান। ম্যাচের ৬০ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ১০ জনের দলে পরিণত হয়। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সোহেল রানা।
মিতুল মারমা এই ম্যাচে ভালো কিছু সেভ করেছেন। জিকোর অভাব বুঝতে দেন নি। ম্যাচে সমতা আবার অনেক সুযোগ পেয়েছিল মালদ্বীপ। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে নিশ্চিত হয়ে যায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে যাচ্ছে বাংলাদেশ।