ক্রীড়া প্রতিবেদক
৩৭তম জাতীয় বয়স ভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতার তৃতীয় দিনে দুইটি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে বিকেএসপির মনির খান তন্ময় ও ৩ মিটার স্প্রিংবোর্ড ডাইভিংয়ে একই প্রতিষ্ঠানের তারিন খাঁ নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এবার আসরে চারটি নতুন জাতীয় রেকর্ড হলো।
মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ১৮ থেকে ২০ বছর ক্যাটাগরিতে ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ৫৫ দশমিক ২১ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড করেন মনির খান তন্ময়। ২০২১ সালে গোপালগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের মোঃ ইসলামের রেকর্ড ভাঙেন তিনি। ইসলাম সময় নিয়েছিলেন ৫৫ দশমিক ৩৪ সেকেন্ড। নতুন জাতীয় রেকর্ড করে দারুন খুশি তন্ময়। বিকেএসপি’র এই সাঁতারু জানান, ‘রেকর্ড ভাঙতে পেরে আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার মা ফজরের নামাজ পড়ে আমার জন্য দোয়া করত। আমিও ফজরের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া চাইছি যেন আমার রেকর্ড আজকে হয়। আল্লাহর কাছে চেয়েছি তাই আল্লাহ আমাকে দিয়েছে। সাঁতার অনেক কষ্টের। কিন্তু যখন আমি রেকর্ড করি তখন এই কষ্ট আর কষ্ট মনে হয় না।’
ভবিষ্যতে অনেক বড় স্বপ্ন দেখেন মনির খান তন্ময়। ‘আমার সামনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় প্রতিযোগিতায় ভালো একটা রেজাল্ট করা। এরপর সামনে এস এ গেমস আছে সেখানে আমি বাংলাদেশের হয়ে গোল্ড মেডেল জিততে চাই। বিকেএসপি হচ্ছে খেলাধুলার একটা আঁতুড়ঘর। বিকেএসপি ছাড়া আমি এরকম সাঁতারু হতে পারতাম না। বাংলাদেশে বিদেশি কোচ আসলে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো ভালো কিছু করতে পারবো। এতে করে অলিম্পিকেও কোয়ালিফাই করার সুযোগ তৈরি হবে আমাদের। ওয়াইল্ড কার্ড ছাড়াই আমরা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে পারব।’
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মত আজ তৃতীয় দিনেও ডাইভিংয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। ৩ মিটার স্প্রিংবোর্ড ডাইভিংয়ে বিকেএসপির তারিন খাঁ ২৭১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট স্কোর করে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন। গত বছর শিমুল পারভেজের করা রেকর্ড ভাঙেন তিনি।বিকেএসপির শিমুল ২৫৫ দশমিক ৪ স্কোর করেছিলেন।
৩য় দিন শেষে বিকেএসপি ৫৫টি স্বর্ণ, ৫২ টি রৌপ্য, ২৫ টি ব্রোঞ্জ পেয়ে পদক তালিকার শীর্ষে রয়েছে। শিলাইদহ সুইমিং ক্লাব ৫টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য ও ৬টি ব্রোঞ্জ পেয়ে পদক পেয়ে ২য় এবং আমলা সুইমিং ক্লাব ৪টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য ও ৩ টি ব্রোঞ্জ পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।