মোঃ শফিকুল আলম
গত ২১ নভেম্বর কিংস অ্যারেনায় লেবাননের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ত্রাতা হয়ে হাজির হয়েছিলেন মোরসালিন। বিশ্বমানের এক গোল করেছিলেন মোরসালিন। ছয় দিন পর সেই কিংস অ্যারেনায় অবিশ্বাস্য এক গোল করে বসুন্ধরা কিংসের ত্রাতা হয়ে উঠলেন মিগেল দামাসেনা। মোরসালিনের গোলে বাংলাদেশ পরাজয় এড়ালেও মিগেলের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বসুন্ধরা কিংস। এই জয় দারুণ স্বস্তি এনে দিয়েছে কিংস শিবিরে। মাজিয়ার সাথে ড্র করলে বা হারলে এএফসি কাপের লড়াই থেকে অনেকটা ছিটকে যেত বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু এই জয়ে এএফসি কাপে ডি গ্রুপে বসুন্ধরা কিংসের শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন থাকলো।
এএফসি কাপের গত দুই আসরে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বাঁধা ছিল মোহনবাগান। এবার সেই বাঁধা ভালোভাবে পার করলেও কিংসের নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায় মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া স্পোর্টস। যাদের বিপক্ষে আগে কখনও পরাজয়ের রেকর্ড ছিল না বসুন্ধরার সেই মাজিয়ার বিপক্ষে এবার তারা এএফসি কাপ শুরু করে হার দিয়ে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বরের আতঙ্কই যেনো বার বার ফিরে আসছিল বসুন্ধরা কিংস শিবিরে। মালদ্বীপে এই মাজিয়া স্পোর্টসের কাছে ৩-১ গোলে হেরে এএফসি কাপ শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস।
দুই মাস পর হোম ম্যাচে শুরুতেই মাজিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে পরে বসুন্ধরা। ১০ মিনিটে কিংসের ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মজিয়াকে লিড এনে দেন রিগান। একদম ফাঁকা নেটে গোল করেন তিনি। ম্যাচে ফিরতে বসুন্ধরা চেষ্টা চালালেও বার বার মাজিয়ার ডিফেন্সে আটকে যাচ্ছিল। তবে ৪২ মিনিটে দুই বার সুযোগ এসেছিল বসুন্ধরার সামনে। প্রথম বার রাকিব ও দ্বিতীয় বার এমফোন সানডে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে নি। বসুন্ধরার দখলে ৭০ ভাগ বল পজিশন থাকলেও ১-০ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাব। ইনজুরির কারণে ছিলেন না বসুন্ধরার নিয়মিত অধিনায়ক রবসন। অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন সোহেল রানা। রবসনের অনুপস্থিতিতে বসুন্ধরার আক্রমণভাগে ঘাটতি দেখা দেয়।
বিরতি থেকে ফিরে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখাটাই পাচ্ছিল না। বদলি হিসেবে মাঠে নামা মোরসালিন ৭৭ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। গোলকিপারকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেন নি। অবশেষে ম্যাচে সমতা আনে বসুন্ধরা কিংস। ৮০ মিনিটে মোরসালিনের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ববুরবেক। ৮৬ মিনিটে অবিশ্বাস্য গোল মিগেল দামাসেনার। বা পায়ে বক্সের অনেক বাইরে থেকে যে শট নিয়েছেন তা বাঁক খেয়ে ক্রস বারের নিচ দিয়ে জায়গা করে নেয় মাজিয়ার জালে। গোলকিপার লাফিয়েও বলের নাগাল পান নি। এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। আগামী ১১ ডিসেম্বর ভারতে উড়িষ্যা এএফসির বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে বসুন্ধরা কিংস।