ক্রীড়া প্রতিবেদক
মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সমতায় শেষ করল স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জয় পেল বাংলাদেশ।
সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্ট ৩ উইকেটে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হল। ব্যাট হাতে ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে অবদান রাখেন মিরাজ।
চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৯১ রান করেছিল বাংলাদেশ। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৪ রানে এগিয়ে ছিল টাইগাররা। মেহেদি হাসান মিরাজ ১৬ ও তাইজুল ইসলাম ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দশম ওভারের পঞ্চম বলে দিনের প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ২০ রান করা তাইজুল।
মিরাজের সাথে অষ্টম উইকেটে ৮৪ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। দলীয় ৪৩৮ রানে মিরাজ-তানজিম জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার ওয়েসলি মাধভেরে। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮০ বলে ৪১ রান করা তানজিমকে শিকার করেন মাধভেরে। মিরাজের সাথে নবম উইকেটে ১৫৬ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন তানজিম।
তানজিম যখন সাজঘরে ফিরেন তখন অন্যপ্রান্তে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। শেষ ব্যাটার হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৫৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ১৪৩ বল খেলা মিরাজ। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
সাত নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি মিরাজ। মাসেকেসার পঞ্চম শিকার হিসেবে মিরাজ আউট হলে ৪৪৪ রানে থামে বাংলাদেশ। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬২ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১০৪ রান করেন মিরাজ।