ক্রীড়া প্রতিবেদক
স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে মোহামেডানকে হারিয়ে দিয়ে চমক দেখানো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবার আটকে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেসিকে। মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচে এগিয়ে গেলেও শেষ দিকে গোল করে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেনাবাহিনী। এই ড্রয়ের ফলে স্বাধীনতা কাপ থেকে বিদায় নিল মুক্তিযোদ্ধা। আর কোয়ার্টার ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল আর্মি ফুটবল দল। একইসাথে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শেষ আট নিশ্চিত হয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের।
মাথার উপর বৃষ্টি, টার্ফের জায়গায় জায়গায় জমে থাকা পানি, বল পাস দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই সেটা পৌছাচ্ছে না সতীর্থের কাছে। এসবকে সঙ্গী করেই কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপে সি গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল থেকেই বৃষ্টি। সেটা সারা রাত হয়ে সারাদিন চলেছে। ম্যাচ হবে কিনা সেটাই ছিল শঙ্কা। তবে কমলাপুর স্টেডিয়ামে আর্টিফিশিয়াল টার্ফের কারণে খেলা চালানো সম্ভব হয়।
ম্যাচের ৮ মিনিটে মিশরীয় ফরোয়ার্ড আহমেদ আইমানের গোলে লিড নেয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ফ্রি কিক থেকে একদম ফাকা জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন আইমান। বল জালে জড়াতে ভুল করেন নি তিনি।
৩৩ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট হয় মুক্তিযোদ্ধার। তাদের জাপানিজ ফুটবলার তেতসুয়াকির শটে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। এরপর ফিরতি বলে ভালো সুযোগ এসেছিল রুমানের সামনে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেন নি রুমান।
৭৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে পারেন নি তেতসুয়াকি। বল পাঠিয়ে দেন বাইরে দিয়ে। ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মুক্তিযোদ্ধার মতো সেনাবাহিনীও পেনাল্টি থেকে গোল পায়নি। স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মেহেদী হাসান। ম্যাচে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া হয় আর্মির।
তবে ৮৮ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করেন সামিউল। ৯০ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় সেনাবাহিনী। সোমাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ড দেখেন মাহবুব। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্রয়ে শেষ হয় খেলা।