ক্রীড়া প্রতিবেদক
মাত্র ২ মিনিটের ব্যবধানেই সব শেষ আবাহনীর। মোহনবাগানের সাথে ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটায় আবাহনী ৫৮ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে। এই দুই গোলের মধ্যে একটি ছিল আবার আত্মঘাতী। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে ম্যাচ হেরে এএফসি কাপের প্লে অফ থেকে বিদায় নিল আবাহনী।
কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ১৭ মিনিটে আচমকাই লিড নিয়ে নেয় আবাহনী। কর্নার থেকে আসা বলে আবাহনীর আক্রমণে বল গ্রিপে নিতে পারেননি মোহনবাগানের গোলকিপার। হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বলে শট নিয়ে আবাহনীকে লিড এনে দেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট।
গোল হজমের পর তা শোধ করার জন্য একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে মোহনবাগান। ২২ মিনিটে তারা প্রায় গোলের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান হৃদয়। ৩৩ মিনিটে আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলের কারণে জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি মোহনবাগান।
তবে একের পর এক আক্রমণে সফল হয় তারা। ৩৫ মিনিটে আবাহনীর সুশান্ত ত্রিপুরা মোহনবাগানের এক ফুটবলারকে ডি বক্সের ভেতর ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজানো রেফারি। ৩৭ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন কাতার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা ফুটবলার জেসন কামিন্স।
ম্যাচের সমতা আনলেও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আক্রমণ করতে থাকে মোহনবাগান। ৪৩ মিনিটে তাদের সুযোগ হাতছাড়া হয়। তবে দুর্ভাগ্য বলতে হবে আবাহনীর। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল পেয়ে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু তাদের আক্রমণ সাইড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ১-১ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরে দুই গোল হজম করে আবাহনী। ৫৮ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জলেই বল জড়ান আবাহনীর মিলাদ সোলেমানি। দুই মিনিট পর জটলা থেকে তৃতীয় গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। গোল করেন সাদিকু। ম্যাচে প্রথম লিড নিলেও শেষ পর্যন্ত পরাজয় সঙ্গী হয় আবাহনীর।