মোহনবাগানের বিপক্ষে প্রথম জয় বসুন্ধরা কিংসের

মোঃ শফিকুল আলম

দুর্দান্ত ফুটবল খেলে মোহানবাগানের বিপক্ষে ইতিহাসকে পাল্টালো বসুন্ধরা কিংস। ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় সবার মন জয় করে বুসন্ধরা কিংস ২-১ গোলে হারালো ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহনবাগানকে।  পিছিয়ে পড়লেও মিগেল দামাসেনো ও রবসনের গোলে কিংসরা কিংসের মতো মাঠ ছেড়েছে। মোহানবাগানের বিপক্ষে প্রথমবার জয় পেল বসুন্ধরা কিংস। এর ফলে এএফসি কাপের ডি গ্রুপে মোহানবাগানকে দুইয়ে নামিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো বসুন্ধরা কিংস। মোহানবাগানের সমান ৭ পয়েন্ট এখন বসুন্ধরার। আরেকবার কিংস অ্যারেনাকে কিংসের দূর্গ হিসেবে প্রমাণ করলো রবসন,বিশ্বনাথরা। কিংস অ্যারেনায় কখনও ম্যাচ হারেনি বসুন্ধরা কিংস। সেই রেকর্ড আজকেও অক্ষত রাখলো তারা।

অপ্রত্যাশিতভাবে এবারের এএফসি কাপ শুরু করে বসুন্ধরা কিংস। মালদ্বীপে গিয়ে মাজিয়া স্পোর্টসের কাছে ৩-১ গোলে পরাজয়। তবে ঘরের মাঠে উড়িশার বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়। আর ভারতে গিয়ে মোহনবাগানের সাথে ২-২ গোলে ড্র। আর আজ তো মোহাবাগানের বিপক্ষে ইতিহাসকে নতুন করে লিখলো বসুন্ধরা কিংস। যদিও ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে  কিংসরা।

১৭ মিনিটে লিড নেয় মোহনবাগান। বা দিক থেকে জেসন কামিংস বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বক্সে। বসুন্ধরার গোলকিপার শ্রাবণ বল গ্ৰিপে নিতে পারেন নি। রিবাউন্ডে বল জালে জড়ান লিষ্টন কলাসো। একদম ফাঁকা জায়গায় ছিলেন লিস্টন। খুব সহজেই গোল করেন তিনি। বসুন্ধরার ডাগ আউটে কোচ অস্কার ব্রুজনের কপালে যখন চিন্তার ভাঁজ তখনই ম্যাচে সমতা আনে বসুন্ধরা কিংস। স্বাগতিকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন মিগেল দামাসেনো।‌ চার্লস দিদিয়েরের বাড়ানো বল ডান পায়ে থামিয়ে শরীরকে ঘুরিয়ে বা পেয়ে জোরালো শট নেন মিগেল। একদম পোস্ট ঘেঁষে বল জায়গা করে নেয় মোহনবাগানের জালে। ৪৪ মিনিটে দুর্দান্ত এই গোলে সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।

বিরতি থেকে ফিরেও দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে বসুন্ধরা।  ৫৮ মিনিটে রবসনের মাটি কামড়ানো শট অল্পের জন্য চলে চায় গোল পোস্টের বাইরে দিয়ে। ৬৮ মিনিটে ঠান্ডা মাথায় শট নিয়েছিলেন মোহনবাগানের সাহাল। দারুন দক্ষতায় কর্নারে রক্ষা করেছেন বসুন্ধরার গোলকিপার শ্রাবণ।

৭২ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিলেন জেসন কামিংস। কিন্তু আগেই অফসাইডের ফ্ল্যাগ তুলেন সহকারী রেফারি।  ৮০ মিনিটে কিংস অ্যারেনায় লাল ঢেউ। ম্যাচে প্রথম লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। দিদিয়ের বল বাড়িয়ে দেন ডরিয়েলটনকে। নিজে শট না নিয়ে পাঠিয়ে দেন রবসনের কাছে। ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠাতে বিন্দুমাত্র ভুল করেন নি রবসন। এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। রেফারির শেষ বাশি বাজার সাথে সাথেই উল্লাস কিংস অ্যারেনায়।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.