মো: শফিকুল আলম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে বসুন্ধরার জয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি রহমতগঞ্জ। এবারের বিপিএলে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে রহমতগঞ্জ ম্যাচে প্রথম লিড নিলেও শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরা কিংস তাদের হারিয়েছে ৩-২ গোলে। ম্যাচের পাঁচ গোলের চারটিই হয়েছে প্রথমার্ধে। এই জয়ে ঢাকা আবাহনীকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল বসুন্ধরা কিংস। পাঁচ ম্যাচ শেষে বসুন্ধরার সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা আবাহনী। আর ১২ দলের মধ্যে রহমতগঞ্জ সেই ১১তম স্থানেই।
নিজের মাঠ বসুন্ধরা কিংস এরেনায় পুলিশ এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ছন্দে ফিরেছিল কিংসরা। সেই ছন্দ তারা ধরে রেখে খেলছিল রহমতগঞ্জের সাথে। কিন্তু তাদের অবাক করে ম্যাচে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। ২৮ মিনিটে মাহমুদুল হাসান কিরণের কর্ণার থেকে হেডে গোল করেন সানডে চিজোবা।
গোল হজম করে তা পরিশোধে উঠে পড়ে লাগে বসুন্ধরা কিংস। ৩২ মিনিটে দুই দুইবার সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। দু’বারই গোললাইন সেভ হয়। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেনি রহমতগঞ্জ। রবসন গোলকিপার তুষারের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠান রহমতগঞ্জের জালে। এক মিনিট পরই দূর পাল্লার শট নিয়েছিলেন রবসন। কিন্তু বল সরাসরি রহমতগঞ্জের গোলকিপার তুষারের কাছে।
৩৮ মিনিটে সুযোগ এসে গিয়েছিল বসুন্ধরার সামনে। কিন্তু স্কোরলাইন ১-১ থেকেছে। তবে ৪৪ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবার এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। গোলমুখে থাকা ইব্রাহিমকে মাপা বল দেন বরসন। ঠান্ডা মাথায় গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান ইব্রাহিম। তবে প্রথমার্ধেই সমতা আনে রহমতগঞ্জ। ৪৭ মিনিটে ফিলিপ আদজাকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন তারিক কাজী। পেনাল্টি দেন রেফারি। গোল করেন সানডে চিজবা।
বিরতির পর একটি গোলই হয়েছে। আর এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। ৭৫ মিনিটে রবসনের কর্ণার কিক থেকে দারুন হেডে গোল করেন বদলি হিসেবে নামা ইয়াসিন আরাফাত।
তবে শেষ দিকে দু’বার আক্রমণে বসুন্ধরাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল রহমতগঞ্জ। ৮৮ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন সানডে চিজোবা। মনে হচ্ছিল হ্যাটট্রিক করে ফেলবেন। কিন্তু যে শট নিলেন তাতে বল চলে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে। ৯০ মিনিটে ফিলিপ আদজার শটে বল জালে জায়গা পায়নি আনিসুর রহমান জিকোর কারণে।