ক্রীড়া প্রতিবেদক
২০৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দরকার মোটে ১৩ রান। হাতে ৫ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন ২৫ বলে ফিফটি হাঁকানো হেনরিখ ক্লাসেন। হায়দরাবাদের দিকেই হেলে পড়েছিল ম্যাচটি। হরষিত রানার প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ প্রায় বের করে এনেছিলেন ক্লাসেন। ৫ বলে দরকার ৭। সিঙ্গেলস নিলেন ক্লাসেন। এরপরই নাটক। তৃতীয় বলে আউট শাহবাজ আহমেদ (৫ বলে ১৬)।
চতুর্থ বলে জানসেন নিলেন এক। পঞ্চম বলে আউট হয়ে গেলেন ক্লাসেনও। টপ এজে ক্যাচ হয়ে ফিরলেন ২৯ বলে ৮ ছক্কায় ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। শেষ বলে আর রান নিতে পারেনি প্যাট কামিন্স। ফলে শেষ বলে ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেলো ঘরের মাঠের কলকাতা নাইট রাইডার্স। তীরে এসে তরী ডুবলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।
হায়দরাবাদের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল আর ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার অভিষেক শর্মা ভালো সূচনা দিয়েছিলেন রান তাড়ায়। ৩৩ বলে তারা তোলেন ৬০ রান। আগারওয়াল ২১ বলে ৩২ আর অভিষেক ১৯ বলে করেন ৩২ রান। হরষিত রানা ৩টি আর আন্দ্রে রাসেল নেন দুটি উইকেট।
এর আগে ফিল সল্ট ওপেনিংয়ে নেমে খেললেন ৪০ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। ছয় নম্বরে নেমে ১৭ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও উপহার দেন রমনদ্বীপ সিং। তারপরও ১১৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মনে হচ্ছিল, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অল্প রানেই আটকে দিতে পারবে স্বাগতিকদের। সেখান থেকে আন্দ্রে রাসেল শো। ২৫ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দিলেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। যে ইনিংসে ভর করেই ৭ উইকেটে ২০৮ রানের পাহাড় গড়ে কলকাতা।
ইডেন গার্ডেনে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে অনেকটা সময় স্বস্তিতেই ছিল হায়দরাবাদ। রান পাননি সুনিল নারিন (২), ভেঙ্কটেশ আয়ার (৭), অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার (০) আর নিতিশ রানা (৯)। কলকাতা পড়েছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ে। সেখান থেকে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে চড়ে বিশাল পুঁজি শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলটির। রাসেল ছাড়াও শেষদিকে ১৫ বলে ২৩ করেন রিঙ্কু সিং। হায়দরাবাদের টি নটরাজন ৩২ রানে নেন ৩টি উইকেট।