মোঃ শফিকুল আলম
কুয়েতে ফিলিস্তিনের কাছে ৫-০ গোলে হারলেও কিংস অ্যারেনায় ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বে বাংলাদেশ দল সেটাই মনে হচ্ছিল। বাংলাদেশের গোলবারের নিচে প্রাচীর গড়ে দিয়েছিলেন গোলকিপার মিতুল মারমা। কিন্তু ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে ৮৪ মিনিটে মিতুল মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর শঙ্কা জেগেছিল বদলি গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ গোলবার অক্ষত রাখতে পারবেন তো। সে শঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ১১ জনের ফিলিস্তিনকে বাংলাদেশ আটকে রাখতে পারলেও ১০ জনের ফিলিস্তিনের বিপক্ষে গোল হজম করেছে জামাল ভূঁইয়ারা।
ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ১-০ গোলে হেরে খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ দল। এর ফলে কিংস অ্যারেনায় এতদিন অপরাজিত থাকার যে রেকর্ড বাংলাদেশ দল ধরে রেখেছিল আজ সেটাও আর থাকলো না। এই ম্যাচে পরাজয় নয় ম্যাচটা জিতেও খেলা শেষ করতে পারতো বাংলাদেশ। শেষ দিকে গোলের দারুন সুযোগ নষ্ট করেছেন রাকিব হোসেন। রাকিব মাঠে পড়ে যাওয়ার পর তাকে টেনে হিচড়ে মাঠের বাইরে বের করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফিলিস্তিনের আমিদ। দশজনের ফিলিস্তিনকে পেয়ে যেখানে সুযোগ তৈরি করবে বাংলাদেশ সেখানে উল্টো গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা। ৯৪ মিনিটে তারমানিনির গোলে লিড নেয় ফিলিস্তিন। আর এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
ফিলিস্তিন আক্রমণাত্মক খেলবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই ম্যাচেও আক্রমণাত্মকই খেলেছে তারা। কিন্তু তাদের আক্রমণ গুলো বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে মিতুল মারমার অসাধারণ কিছু সেভের কারণে। গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। বিরতির পরও ফিলিস্তিনিদের হাতাশ করা যাচ্ছিলেন বাংলাদেশে গোলকিপার মিতুল মারমা।
বাংলাদেশ দল বড় ধাক্কায খায় ৮৪ মিনিটে। আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন গোলকিপার মিতুল মারমা। তার জায়গায় নামেন গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ইনজুরি গুরুতর হাওয়ার কারণে মিতুলকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয়। মিতুল আহত হয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকেও যেন ছিটকে যায়।