ক্রীড়া প্রতিবেদক
সফলভাবে শেষ হয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রাপ্তির জায়গা অনেক। প্রথমত টুর্নামেন্টের আয়োজক হিসেবে সফল ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ত মারিয়া মান্ডারা দেশকে শিরোপা উপহার দেয়ায় আনন্দের মাত্রা বেড়ে গেছে বহুগুণে।
ক্রিকেট, ফুটবল বা অন্য যে কোন খেলা, আয়োজক হিসেবে সব সময়ই সফল এ দেশ। আপ্যায়নে সব সময় অতিথিদের মন জয় করেছে বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম ছিল না সাফের এই নারী চ্যাম্পিয়নশিপও। করোনার সময় যে কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করাই চ্যালেঞ্জিং। সাফের এই টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করাও চ্যালেঞ্জের ছিল। সফলভাবে টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করতে পেরেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। করোনা শুরু হওয়ার পর এটাই ছিল ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন।
বাংলাদেশ ছাড়া বিদেশ চার দল ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলংকা অংশ নিয়েছিল নারীদের এই সাফ টুর্নামেন্টে। দলগুলোকে বায়োবাবলের মধ্যে রাখা, করোনার প্রটোকল মেনে সবকিছু করা কম কঠিন কাজ ছিল না। এসব কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের নেতৃত্বে আয়োজক কমিটির সভা হয়েছে নিয়মিত। সব প্রস্ততি সম্পন্ন করতে কাজ করে গেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।

টুর্নামেন্টের ভেন্যু নিয়েও চিন্তার কারণ ছিল। কারণ দেশের ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে সংস্কার কাজ। তাই কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামকেই বেছে নেয়া হয়। এএফসির প্রতিনিধিরা কমলাপুর স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে ভেন্যুর ছাড়পত্র দেন। ফাইনালসহ মোট ১১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় কমলাপুর স্টেডিয়ামে।
সবশেষে ফাইনাল ম্যাচে দর্শকের উপস্থিতি টুর্নামেন্টের শেষটা রাঙিয়েছে বর্ণীলভাবে। কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল স্টেডিয়ামের গ্যালারী। তিল ধারণের ঠাই ছিল না কমলাপুর স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পেরে অনেক দর্শক ফিরে গেছেন। ফুটবলে যেন প্রাণ ফিরে এসেছিল কমলাপুর স্টেডিয়ামে। তাই সব দিক দিয়ে সফলভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার তৃপ্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।