ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে নিজেদের অভিষেকটাকে স্মরণীয় করে রাখল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। বড় চমক দেখিয়ে বিপিএলে যাত্রা করল তারা। টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন জায়ান্ট বসুন্ধরা কিংসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে শুরুতেই হোচট খেলো বসুন্ধরা কিংস। অন্য ম্যাচে মুন্সিগঞ্জে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব একই ব্যবধানে হারিয়েছে উত্তর বারিধারাকে।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে লিড নেয় স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। ২২ মিনিটে পেনাল্টি পায় স্বাধীনতা। ডি বক্সের ভেতর বসুন্ধরার আতিকুর রহমান ফাহাদ এর হাতে বল লেগেছে জানিয়ে পতাকা উঠান সহকারি রেফারি। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। রেফারির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানায় বসুন্ধরার ফুটবলাররা। কিন্তু রেফারি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। স্পট কিট থেকে গোল করেন স্বাধীনতাকে এগিয়ে নেন বসনিয়ার ফুটবলার নেডো তুরকোভিচ।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে সুযোগ এসেছিল বসুন্ধরার সামনে। ফ্রি কিক থেকে ভ্রানিয়াসের শট ডান দিকে ঝাপিয়ে কর্ণারে রক্ষা করেছেন স্বাধীনতার গোলকিপার সারওয়ার জাহান। ৪৫ মিনিটে পরিকল্পনামতো আক্রমণে গিয়ে একটা সুযোগ তৈরি করেছিল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। কিন্তু সফল হতে পারেনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে রবসনের কর্নার থেকে খালেদ শাফির হেড চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড বাড়িয়ে নেয় স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। ৪৭ মিনিটে গোল করেন রাসেল। দুই গোলে পিছিয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় আগের দুই আসরের প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। ৪৮ মিনিটে ভালো ফ্রি কিক নিয়েছিলেন ভ্রানিয়াস। কিন্তু এ যাত্রায়ও দলের কোনো বিপদ হতে দেননি স্বাধীনতার গোলকিপার।
৫৩ মিনিটে আবার সুযোগ এসে গিয়েছিলো স্বাধীনতার সামনে। ৬৯ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছেন স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের নেডো তুরকোভিচ। ৭৩ মিনিটে এক গোল শোধ করে বসুন্ধরা কিংস। ইয়াসিন আরাফাতের লং বল থেকে হেডে স্বাধীনতার জালে বল জড়ান তৌহিদুল আলম সবুজ। ৮৪ মিনিটে আবারো সুযোগ এসেছিল তৌহিদুল আলম সবুজ এর সামনে।কিন্তু এবার আর সফল হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পরাজয় দিয়েই প্রিমিয়ার লিগ শুরু করল বসুন্ধরা কিংস।