ক্রীড়া প্রতিবেদক
আর্লিং হালান্ডের চার গোলে শনিবার প্রিমিয়ার লিগে উল্ফসকে ৫-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দিনের আরেক ম্যাচে শীর্ষে থাকা আর্সেনাল ৩-০ গোলে গোলেবোর্নমাউথকে পরাজিত করে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সিটির থেকে চার পয়েন্টের লিড নিয়েছিল। আর্সেনালের এই জয়ের মাত্র ঘন্টাখানেক পর ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে সিটির দাপুটে জয় নিশ্চিত হয়।
১২ মিনিটে রায়ান এইত-নৌরির বিপক্ষে জাসকো গাভারডিওলের আদায় করা পেনাল্টি থেকে হালান্ড গোলক্ষক হোসে সাকে পরাস্ত করলে এগিয়ে যায় সিটি। ৩৫ মিনিটে রড্রির ক্রস থেকে দারুন এক হেডে ব্যবধান দ্বিগুন করেন হালান্ড। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে ডি বক্সের মধ্যে হালান্ডকে ফাউল করেন উল্ফস ডিফেন্ডার নেলমন সেমেডো। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার স্পট কিক থেকে আবারো গোল করলে ৩-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
সিটি গোলরক্ষক এডারসনের ভুলে ৫৩ মিনিটে হওয়ায় হি-চ্যান উল্ফসের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। ৫৪ মিনিটে কোনাকুনি শটে হালান্ড সিটির হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন। এর মাধ্যমে মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় হালান্ড ৩৬ গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন। ৮২ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজকে জায়গা ছেড়ে দেবার সময় মাঠ থেকে বের হতে হালান্ডকে কিছুটা অখুশী মনে হয়েছে। ৮৫ মিনিটে এই আলভারেজের গোলে সিটির বড় জয় নিশ্চিত হয়। লিগে এটি সিটির টানা ষষ্ঠ জয়। এনিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ২০ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো সিটিজেনরা। শেষ তিনটি ম্যাচে জয়ী হতে পারলে টানা চতুর্থবারের মত ইংলিশ লিগ শিরোপা জয়ের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করবে সিটি। আর্সেনালের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলায় সিটির সামনে সেই সম্ভাবনা এখন উজ্জ্বল।
আগামী শনিকার তাদের প্রতিপক্ষ ফুলহ্যাম। এরপর ১৪ মে টটেনহ্যাম ও পাঁচদিন পর ওয়েস্ট হ্যামের মোকাবেলা করবে পেপ গার্দিওলার দল। কাল ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে আশা করছি প্রথম দুটিতে জয়ী হতে পারবো। তৃতীয়টির ভাগ্য আমাদের উপর নির্ভর করছে।’
এদিকে এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনাল টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে। বিরতির ঠিক আগে বুকায়ো সাকার পেনাল্টিতে গানার্সরা এগিয়ে যায়। লিয়ান্ড্রো ট্রোসার্ড ৭০ মিনিটে বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ট্রেভার্সকে পরাস্ত করলে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। স্টপেজ টাইমে ডিক্লান রাইস দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেছেন।