দুই ম্যাচ আগেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দুই ম্যাচ হাতে রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৯ রানে হারিয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৮ ও ৬ উইকেটে জিতেছিলো বাংলাদেশ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয় ৩৮ বলে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে ৫৭ এবং জাকের আলী ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৬ রান করে জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান তোলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। চতুর্থ ওভারে দলীয় ২২ রানে বিচ্ছিন্ন তানজিদ-লিটন। ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হয়েছেন লিটন।

লিটন আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। পঞ্চম ওভারে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার আর্ম বলে বোল্ড হন নাজমুল(৪)। লিটন-নাজমুলকে হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান তুলে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ৩১ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তানজিদ ও হৃদয়। নবম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারার চেষ্টায় ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ আউট হন তানজিদ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ২১ রান করেন তিনি। তানজিদ ফেরার পর হৃদয়ের সাথে জুটি বাঁধেন জাকের। দু’জনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১২ ওভার শেষে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭৫।

১৩তম ওভার থেকে জিম্বাবুয়ের বোলারদের উপর চড়াও হন হৃদয় ও জাকের। ১৩ থেকে ১৮তম ওভারে ৬৭ রান যোগ করেন তারা। এরমধ্যে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ১৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। এজন্য ৩৪ বল খেলেছেন হৃদয়।

১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মুজারাবানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৮৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয়-জাকের। আগেরটি ছিলো মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। ২০১৯ সালে এই ভেন্যুতেই চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৮ রান যোগ করেছিলেন মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ।

হৃদয় ফেরার এক বল পর জাকেরকেও বোল্ড করেন মুজারাবানি। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৭ রান তোলেন মাহমুদুল্লাহ ও রিশাদ হোসেন। এতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শেষ ৭ ওভারে ৯০ রান তুলেছে টাইগাররা। মাহমুদুল্লাহ ২টি চারে ৯ এবং রিশাদ ১টি বাউন্ডারিতে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের মুজারাবানি ক্যারিয়ার সেরা ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন।

১৬৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৬ রান করে জিম্বাবুয়ে। মাসাকাদজা ১৩, ফারাজ ২টি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন । বাংলাদেশের সাইফুদ্দিন ৪২ রানে ৩ ও রিশাদ ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন। আগামী ১০ মে মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.