ঢাকা টেস্ট ইনিংস ও ৮ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তানের কাছে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস ও ৮ রানে হারলো বাংলাদেশ। এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো সফরকারীরা। সিরিজের প্রথম টেস্ট ৮ উইকেটে জিতেছিলো পাকিস্তান।

নিয়মনুযায়ী ঢাকা টেস্টে ৪৫০ ওভার খেলার হবার কথা ছিলো। সেখানে বৃষ্টির কারনে ঢাকা টেস্টে খেলা হয়েছে ২১৫ দশমিক ১ ওভার। ম্যাচের অর্ধেকেরও কম খেলা হবার পরও পাকিস্তানের কাছে ঢাকা টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংস ঘোষনা করেছিলো পাকিস্তান। এরপর ব্যাট হাতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেটে ৭৬ রান করেছিলো বাংলাদেশ। ফলো অন এড়াতে তখনো ২৫ রানের প্রয়োজন ছিলো টাইগারদের। কিন্তু বাকী ৩ উইকেটে আজ ১১ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি বাংলাদেশ।

ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন শেষ পর্যন্ত ৮৭ রানে অলআউট হয়ে ফলো অনে পড়ে বাংলাদেশ। ২৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে শেষ ব্যাটার হিসেবে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান। অন্য দুই ব্যাটার তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ খালি হাতে ফিরেন। ফলে ৩২ ওভারে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় টাইগারদের। পাকিস্তানের অফ-স্পিনার সাজিদ খান ১৫ ওভারে ৪২ রানে ৮ উইকেট নেন।

ফলো অনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেও ব্যর্থতার বৃত্তেই নিজেদের আটকে রাখেন বাংলাদেশের টপ-অর্ডার ব্যাটাররা। ২৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

উপরের সারির ব্যাটারদের মত যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেননি বাংলাদেশের দুই মিডল-অর্ডার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। তবে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে সাজিদের ঘুর্ণিতে হার মানেন লিটন। লিটনের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে পাকিস্তানের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুশফিক। কিন্তু চা-বিরতি ঠিক আগ মুহূর্তে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মুশি। ৪৮ রান করেন মুশফিক। মুশফিক-লিটন, মুশফিক-সাকিবের জুটির কল্যাণে হার এড়ানোর পথ খুঁজে পেয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেনি।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ১৩০ বলে ৬৩ রান করেন সাকিব। ২শ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সাকিবের আউটের পর, পাকিস্তানের জয় সময়ের ব্যাপার ছিলো। তবে শেষ দিকের ব্যাটাররা লড়াই করার চেষ্টা করলেও  শেষ পর্যন্ত ৮৫তম ওভারে ২০৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এই ইনিংসে ৮৬ রানে ৪ উইকেট নেন সাজিদ। প্রথম ইনিংসে ৪২ রানে ৮টিসহ ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের  সেরা খেলোয়াড় হন সাজিদ।  সিরিজ সেরা পাকিস্তানের আবিদ আলি।

এই সিরিজ জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ হারে ৩৬ পয়েন্ট অর্জন করে  টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো পাকিস্তান। এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পথচলা শুরু করা বাংলাদেশ শুন্য হাতে সিরিজ শেষ করলো।

Related articles

Comments

Share article

spot_img

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.