ক্রীড়া প্রতিবেদক
লাউতারো মার্টিনেজের অতিরিক্ত সময়ের গোলে কলম্বিয়াকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে রেকর্ড ১৬তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় করেছে আর্জেন্টিনা।মিয়ামির হার্ড রর্ক স্টেয়িামে নিরাপত্ত জনিত কারন ও দর্শকদের বিশৃঙ্খলায় ফাইনাল ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের ৮২ মিনিট পর শুরু হয়। বদলী খেলোয়াড় মাটিনেজের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ হাসি হাসে আর্জেন্টাইনরা। এর মাধ্যমে টুর্নামেন্টে পাঁচ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন মার্টিনেজ।
২০২১ কোপা জয়ের পর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ শেষে এ নিয়ে আর্জেন্টিনা টানা তৃতীয় বৈশ্বিক কোন শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখালো। ৬৬ মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে মাঠত্যাগে বাধ্য হওয়া আর্জেন্টাইন অধিনয়ক লিওনের মেসি ডাগ আউটে ফিরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ম্যাচের বাকি সময়টা তাকে দর্শক হিসেবে কাটাতে হয়েছে। একইসাথে জাতীয় দল থেকে বিদায় নিয়েছেন অভিজ্ঞ উইঙ্গার আবেগাপ্লুত এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
সাত মিনিটে কলম্বিয়ান জন করবোবা দুর্দান্ত শটে বল পোস্টে লাগান। কিন্তু কোন দলই প্রথমার্ধে তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি। ডি মারিয়া ২০ মিনিটে মেসির দিকে একটি লো বল এগিয় দেন। বক্সের ভিতর থেকে মেসির বা পায়ের শট সহজেই রুখে দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ক্যামিলো ভারগাস। এরপর কলম্বিয়াকে কিছুটা উজ্জীবিত দেখা গেছে। ৩৩ মিনিটে জেফারসন লারমা ২৫ গজ দুর থেকে শট নিয়েছিলেন।
বিরতির পর দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। হামেস রড্রিগুয়েজের কর্নার থেকে ডেভিনসন সানচেজের হেড বারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ডি মারিয়া বামদিক থেকে তার ট্রেডমার্ক শটে ভারগাসকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন। ৬৬ মিনিটে মধ্যমাঠে হঠাৎ করেই কারো সাথে কোন সংঘর্ষ না হয়েও মেসি বদলী বেঞ্চের দিকে তাকে উঠিয়ে নেবার ইঙ্গিত করেন। মেসির পরিবর্তে ঐ সময় মাঠে নামেন নিকোলাস গঞ্জালেজ।
অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের গতি কিছুটা পরিবর্তিত হয়। ১১২ মিনিটে লিনড্রো পারেডেস মধ্যমাঠে বল পেয়ে গিওভানি লো সেলসোর দিকে বাড়িয়ে দেন। প্রথম সুযোগেই লো সেলসোর নিখুঁত পাসে মার্টিনেজ বল জালে জড়ান। কলম্বিয়ার আর্জেন্টাইন কোচ লোরেঞ্জো বলেছেন তার দল শারিরীক ভাবে পিছিয়ে পড়েছিল, ‘পুরো টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়রা তেমন একটা পরিশ্রান্ত হয়নি, যতটা ফাইনালে হয়েছে। ২১ দিনে তারা ৬ ম্যাচ খেলেছে। ’