ক্রীড়া প্রতিবেদক
ঠিক যেন ২০২২ সালের একই চিত্রনাট্য। মেয়েদের সাফে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে তাতে ২০২২ সালকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। আগের মত এবারও সেমিফাইনালের পর ফাইনালে একই প্রতিপক্ষ। একই ভেনু নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা। চিত্রনাট্যের শেষটায় ২০২২ এর মত একই কিছু ঘটলে আবারও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরবে বাংলাদেশের মেয়েরা। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আগামীকাল ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ নেপাল বিগ ফাইনাল। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় শিরোপার লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধা পৌনে সাতটায়। বাংলাদেশ কি পারবে শিরোপা ধরে রাখতে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন আত্মবিশ্বাসী।
২০২২ সালের ফাইনালে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় নেপালের পক্ষে গলা ফাটিয়েছে ১৫ হাজার ৭৩০ জন। দর্শক। কিন্তু স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে মেয়েদের সাফে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। এবারও ফাইনাল ম্যাচে গ্যালারি এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তরে নেপালকে সমর্থন যোগাবে তাদের দর্শকরা। এদিক দিয়ে বাংলাদেশ দল পিছিয়ে থাকলেও দর্শকদের চাপ নেপালের উপরে থাকবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না। পাকিস্তানের সাথে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে শুরু। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সাবিনার দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় শক্তিশালী ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে। এরপর সেমিফাইনালে ভুটানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে ফাইনালের মঞ্চে বাংলাদেশ। আবারও স্বপ্ন পূরণের পালা। শিরোপার এত কাছে এসে নিশ্চয়ই সেটা হাতছাড়া করতে চাইবে না বাংলাদেশের মেয়েরা।