ক্রীড়া প্রতিবেদক
টানা দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। বিপিএলের ১১তম আসরের ফাইনালে আজ বরিশাল ৩ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম কিংসকে। গেল বছর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বরিশাল। ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করে চট্টগ্রাম কিংস। জবাবে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৫ রান করে বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ইমন ও নাফি। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ইমন-নাফির উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন বরিশালের পেসার এবাদত হোসেন। বরিশালের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৪ বলে ৬৬ রান করা নাফি। উদ্বোধনী জুটিতে ইমনের সাথে ৭৬ বলে ১২১ রান যোগ করেন নাফি।
নাফি ফেরার পরও চট্টগ্রামের রানের চাকা সচল রাখেন ইমন ও নতুন ব্যাটার ইংল্যান্ডের গ্রাহাম ক্লার্ক। কিন্তু শেষ ৪ ওভারে ৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি চট্টগ্রাম। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলির করা শেষ ওভার থেকে ২ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৬ রান পায় চট্টগ্রাম। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় চট্টগ্রাম।
জয়ের জন্য ১৯৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দারুণ সূচনা করে বরিশালও। তবে নবম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে চট্টগ্রামকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। প্রথম বলে তামিমকে এবং চতুর্থ বলে ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল। ২৯ বলে ৫৪ রানে থামেন তামিম। হৃদয়ের সাথে ৪৯ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়েন তামিম। মালান করেন ১ রান। সাবধানে খেলে ১১তম ওভারে আউট হন হৃদয়। ৩টি চারে ২৮ বলে ৩২ রান করেন তিনি।
দলীয় ৯৬ রানে হৃদয় ফেরার পর বরিশালের জয়ের পথ তৈরি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ১৪ বলে ৩৪ ও পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহর সাথে ২৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন মায়ার্স। মুশফিক ৩টি চারে ৯ বলে ১৬ এবং মায়ার্স ৩টি করে চার-ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রানে আউট হন। ১৮তম ওভারে মায়ার্স ও মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে লড়াইয়ে ফেরান শরিফুল। এমন অবস্থায় জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ২০ রান দরকার পড়ে বরিশালের।
১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে এবং শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে বরিশালকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। ২টি ছক্কায় ৬ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। চট্টগ্রামের শরিফুল ৪ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন।