ক্রীড়া প্রতিবেদক
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের পঞ্চম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। তাতে ৪১ বছরের ইতিহাসের প্রথমবার ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফাইনাল। পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে।
১৩৬ রানের লক্ষ্য পেরোলেই স্ফাইনাল। আরাধ্য শিরোপার হাতছানি। দুবাইয়ের উইকেটে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও হাতের নাগালেই ছিল বলা চলে। শুধু দেখেশুনে খেললেই জয় সুনিশ্চিত। এমন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে কে কাকে ছাড়াবেন সে প্রতিযোগিতায় নামলেন।
টস জিতে আগে বোলিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। বোলাররা শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছিলেন। তাসকিন আহমেদ চার বলের মধ্যেই ফারহানকে ফেরান, পরে রিশাদ, শেখ মেহেদি আর মুস্তাফিজ মিলে পাকিস্তানের টপ অর্ডার গুটিয়ে দেন। এক পর্যায়ে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সালমান আগার দল।
কিন্তু শেষদিকে মোহাম্মদ হারিসের ২৩ বলে ৩১ ও নওয়াজের ১৫ বলে ২৫ রানে ভর করে পাকিস্তান দাঁড় করায় ১৩৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ঝলমলে ছিলেন—৪ ওভারে ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট। রিশাদ ও মোস্তাফিজও পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নামতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ইমন শূন্য হাতে ফেরার পর হৃদয়ও ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করা সাইফ খেলেন মাত্র ১৮ রানের ইনিংস। একে একে নুরুল হাসান, মেহেদি, জাকের আলি ফিরে গেলে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
শামীম হোসেন অবশ্য কিছুটা লড়াই করেছিলেন। ২৫ বলে ৩০ রান করে তিনি কিছুটা আশার আলো জ্বালালেও শাহীন আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরতেই শেষ হয়ে যায় সব স্বপ্ন। এরপর কেবল ব্যবধান কমানোর লড়াই। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে থামে বাংলাদেশের ইনিংস ১২৪ রানে।